চট্টগ্রামে পুলিশের ‘আমার ফার্মেসি’ সেবা চালু
১৬ জুন ২০২০ ১৮:৫৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে পুঁজি করে ওষুধ বিক্রেতাদের নৈরাজ্য রুখতে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশের ভ্রাম্যমাণ সেবা ‘আমার ফার্মেসির’ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। এখন থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর যেকোনো প্রান্ত থেকে হটলাইন ০১৮৭০ ৭০০ ৭০০ নম্বরে ফোন করলেই বাসায় পৌঁছে যাবে ওষুধ।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান ‘আমার ফার্মেসি’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর আমরা সিএমপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ নিয়েছি। ত্রাণ দেওয়া, বাসায়-বাসায় বাজার পৌঁছে দেওয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার চালু, টেলিমেডিসিন সেবার মতোই ভ্রাম্যমাণ ফার্মেসি চালুও আমাদের একটি মানবিক উদ্যোগ। এর ফলে ওষুধ ব্যবসায়ীদের নৈরাজ্য বন্ধ হবে বলে আমার বিশ্বাস। তাছাড়া করোনায় আক্রান্ত কিংবা আক্রান্ত নন এমন মানুষ এতে উপকৃত হবেন বলে আমরা মনে করি।’
এদিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৪০৬ জন। প্রতিদিন বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগী। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চট্টগ্রামের ফার্মেসিগুলোতে ওষুধ নিয়ে নৈরাজ্য। পাইকারি বাজারে ওষুধের কৃ্ত্রিম সংকট। ফার্মেসিতে দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি দাম দিয়েও মিলছে না প্রয়োজনীয় ওষুধ।
এই সংকট কাটাতে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন ভ্রাম্যমাণ ফার্মেসি চালুর ব্যতিক্রমি এই উদ্যোগ নেন। আর এ কাজে তিনি পাশে পেয়েছেন বিএম রাইডার্স নামে একটি বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক টিমকে।
ওসি মোহাম্মদ মহসীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ২০ জন বাইক রাইডার দিয়ে এই কাজ আমরা চালু করেছি। তারা ঘরে ঘরে ওষুধ পৌঁছে দেবেন। পরবর্তীতে আরও ৯০ জন স্বেচ্ছাসেবক এই টিমে যোগ দেবেন। আমরা প্রাথমিকভাবে ১৫টি ফার্মেসি নির্ধারণ করেছি, যাদের থেকে আমরা ওষুধ সংগ্রহ করব। বাড়তি যে দাম হবে সেটা আমরা রোগীর জন্য ভর্তুকি হিসেবে দেবো। আর রোগীর কাছে সরবরাহের সময় দাম নেব ১৫ শতাংশ কম। তবে বাসায় ওষুধ গ্রহণের সময় রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দেখাতে হবে। কোনোভাবেই ব্যবস্থাপত্রে উল্লিখিত পরিমাণের বাইরে বেশি ওষুধ দেওয়া হবে না।’