মোবাইল সেবায় সম্পূরক শুল্কে সরকারের রাজস্ব কমবে: অ্যামটব
১৬ জুন ২০২০ ২২:৩৩
ঢাকা: বাজেটে নতুন করে মোবাইল সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোয় সরকার উল্টো রাজস্ব হারাবে মন্তব্য করে বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)। একই সঙ্গে বাজেট পাশ হওয়ার আগে যে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক নেওয়া হচ্ছে তার আইনি ভিত্তি আছে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষে এসব কথা বলা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে মন্তব্য জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে রবি আজিয়াটার চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, গ্রামীণফোনের হেড অব পাবলিক অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত এবং বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার তাইমুর রহমান সংযুক্ত ছিলেন।
অ্যামটব মহাসচিব এস এম ফরহাদ বলেন, ‘জিডিপিতে সাত শতাংশ অবদান রয়েছে মোবাইল অপারেটরদের। আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করলে তা ১০ শতাংশ হত। কিন্তু তা করা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার সাথে সাংঘর্ষিক৷ কারণ এখনও মোট গ্রাহকের ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ফিচার ফোন ব্যবহার করে, তারা কথা বলা বা এসএমএস করে থাকে। তারা ব্যবহার কমিয়ে দিলে রাজস্ব আসবে না এবং সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
শুল্ক বাড়ানোয় গ্রাহকের ওপর চাপ বাড়বে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তারা ব্যবহার কমিয়ে দিলে রাজস্ব কমে যাবে। অপারেটরদের আয়ের ৫১ থেকে ৫৭ শতাংশ সরকারের রাজস্বে চলে যায়। অপারেটররা আয় করলে সরকারের রাজস্বও বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।’
অ্যামটব মহাসচিব এস এম ফরহাদ বলেন, ‘আইন মেনেই বাজেট পাশের আগে সম্পূরক শুল্ক কাটা হচ্ছে বলে চার অপারেটরের পক্ষ থেকে তারা বিটিআরসিকে উত্তর দিয়েছেন। জাতীয় সংসদে বাজেট ঘোষণার দিনই এসআরও জারি করে অবিলম্বে শুল্ক কার্যকর করতে কথা বলা হয়। এটাতো নতুন নয়। অর্থবিলের ৮৮ পাতায় কোন কোন দফা অবিলম্বে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ৮০ নম্বর দফাও আছে। মোবাইল সেবা এই দফার অন্তর্ভুক্ত।’
এদিকে, বাজেট পাস হওয়ার আগেই কেন মোবাইল সেবায় বাড়তি হারে সম্পূরক শুল্ক কাটা হচ্ছে তা জানতে চেয়ে গত শনিবার অপারেটরদের চিঠি দেয় বিটিআরসি। বাজেটে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণার পর তা ইতোমধ্যে আরোপ করা শুরু হয়েছে, এটি প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা হিসেবে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া এবং সব সেবা ও ট্যারিফ অনুমোদন বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয় চিঠিতে।