Thursday 19 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শুল্ক কমানোসহ ৪ দফা দাবি কার্টন উৎপাদনকারীদের


১৭ জুন ২০২০ ০০:২২ | আপডেট: ১৭ জুন ২০২০ ০০:৩৭

ঢাকা: অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে লোকাল প্যাকেজিং ও মুদ্রণ শিল্পের কাঁচামালের ওপর আমদানি শুল্ক প্লাস্টিক প্যাকেজিংয়ের মতো ৫ শতাংশ করাসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছে স্থানীয় কার্টন উৎপাদনকারী উদ্যোক্তারা।

সোমবার (১৫ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়, এনবিআর ও এফবিসিসিআই সভাপতির কাছে দেওয়া এক চিঠিতে এ দাবি জানান বাংলাদেশ লোকাল কার্টন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলসিএমএ) সভাপতি এম এ বাসার পাটওয়ারী।

বিজ্ঞাপন

একই দাবি জানিয়ে চিঠি দিযেছে আরও ৫ সংগঠন। সেগুলো হলো— বাংলাদেশ মুদ্রণ শিলপ সমিতি, দ্য বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পেপার ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতি এবং চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপ।

বিএলসিএমএ-এর চিঠিতে বলা হয়, দেশের স্থানীয় কার্টন উৎপাদন শিল্পের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং শ্রমঘন প্রতিষ্ঠান। এই শিল্পে প্রায় ২০ লাখ মানুষ ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। বিদ্যমান আইনগুলো এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য বারবারই বৈরী অবস্থা সৃষ্টি করে আসছে। এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাঁচানোর জন্য আসন্ন বাজেটে চারটি মৌলিক দাবি বিবেচনায় নেবে বলে আশা করছে বিএলসিএমএ।

উল্লেখ করা চার দফার দাবিতে বলা হয়েছে— দেশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত প্যাকেজিং কাঁচামাল আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন না হওয়ায় আমাদের পেপার অ্যান্ড পেপার বোর্ড, লাইনার ও মিডিয়াম পেপার আমদানি করতে হয় এবং সিডি আমদানি শুল্ক পরিশোধ করতে হয়, যা আমাদের বাজারে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পণ্য উৎপাদন করতে বাধাগ্রস্ত করছে। অন্যদিকে, বন্ডেড সুবিধা না থাকলেও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আন্তর্জাতিক মানের কাগজ ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রফতানি পণ্যের কার্টন/মোড়ক উৎপাদন করতে হয়। এ অবস্থায় প্যাকেজিং কাঁচামালের ওপর আমদানি শুল্ক প্লাস্টিক প্যাকেজিংয়ের মতো ৫ শতাংশ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।

বিজ্ঞাপন

চিঠিতে দেশীয় পেপার মিলে উৎপাদিত প্যাকেজিংয়ের কাঁচামাল, অর্থাৎ প্যাকেজিং পেপারে ভ্যাট ১৫ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে বিএলসিএমএ। এর ফলে বাণিজ্যিক আমদানি কয়েকগুণ বাড়ার পাশিপাশি সরকারের হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ বাড়বে বলেও উল্লেখ করা হয়। এছাড়া প্যাকেজিংয়ের শুল্ক ৫ শতাশ আরোপিত হলে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার অনেকাংশে কমবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, যেহেতু আমরা ১৫ শতাংশ বা আদর্শ হারে ভ্যাট দিয়ে থাকি, তাই আমাদের উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ হওয়াই বাঞ্চনীয়। কাচামাল কিনতে যেহেতু আমরা নিট মূল্যের ওপর ভ্যাট দিয়ে থাকি, তাই কাগজ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিকৃত ও বাজার থেকে সংগৃহীত ওয়েস্ট পেপারের ওপর ভ্যাট আরোপ করে রেয়াতি সুবিধা দিয়ে ৫ থেকে ৭.৫ শতাংশের পরিবর্তে প্যাকেজিং পেপারে ভ্যাট ১৫ শতাংশ করার অনুরোধ জানায় সংগঠনটি। এতে বলা হয়, আদর্শ হার ছাড়া ভ্যাটের ক্ষেত্রে ভিডিএস কর্তনের বিধান রাখা হয়েছে বর্তমান আইনে। ভ্যাট প্রদানকারী ও আদায়কারী উভয়ই যদি ভিডিএস কর্তনকারী সত্তা হয়, তবে এই আইন উভয় কর্তনকারীর ক্ষেত্রে রহিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

৪ দফা দাবি কার্টন কার্টন উৎপাদনকারী চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপ দ্য বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন প্যাকেজিং ও মুদ্রণ শিল্প বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতি বাংলাদেশ পেপার ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ মুদ্রণ শিলপ সমিতি লোকাল কার্টন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর