‘করোনা শনাক্তে গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিট কার্যকর নয়’
১৭ জুন ২০২০ ১৩:৩৩ | আপডেট: ১৭ জুন ২০২০ ১৬:৩৯
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত অ্যান্টিবডি কিট কার্যকর নয় বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। বুধবার (১৭ জুন) গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় গঠিত পারফরমেন্স কমিটির বরাত দিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘উপসর্গের প্রথম সপ্তাহে এই কিট ব্যবহার করে ১১ শতাংশে ও দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪০ শতাংশ রোগীর করোনা শনাক্ত সম্ভব। তবে এই কিট কোভিড রোগের ব্যাপ্তি দেখার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই কিটের মাধ্যমে ৭০ শতাংশ রোগী যাদের ইতোপূর্বে কোভিড হয়েছিল, তাদের শনাক্ত করা সম্ভব। ইনফেকশনের শুরুতে ও ইনফেকশনের বিলম্বিত পর্যায়ের অ্যান্টিবডি আলাদাভাবে পার্থক্য করতে পারে না এই কিট।’
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মিল্টন হলে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে গণস্বাস্থ্যের কিট নিয়ে কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
ব্রিফিংয়ে ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘বিএসএমএমইউর অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বাধীন পারফরম্যান্স কমিটি গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করেন। তাতে দেখা গেছে, এই কিটটি উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের রোগ শনাক্তকরণে কার্যকরী নয়।’
বিএসএমএমইউ’র গবেষণা শেষে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ নিবেন জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা শুধু গবেষণা করেছি, বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ। যে সবস্থানে প্রচলিত আরটি পিসিআর পদ্ধতি চালু নেই অথবা যাদের কোভিড উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও আরটি পিসিআর নেগেটিভ এসেছে, তাদের ক্ষেত্রে এই কিট কিছুটা সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।’
এর আগে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বে গঠিত পারফরমেন্স কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেন।