Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘করোনার ব্যাপ্তি দেখতে কাজে লাগতে পারে গণস্বাস্থ্যের কিট’


১৮ জুন ২০২০ ০২:২৫

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত নয়, এই রোগের ব্যাপ্তি দেখার কাজে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত অ্যান্টিবডি কিট ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল, তাদের ৭০ শতাংশকেই এই কিটের মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিবডি কিটের এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশনের প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্যকারিতা যাচাই কমিটি। বুধবার (১৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের মিল্টন হলে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- ‘করোনা শনাক্তে গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিট কার্যকর নয়’

প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দ্রুত করোনাভাইরাস শনাক্ত করার লক্ষ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট কার্যকর নয়। কারণ করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর প্রথম দুই সপ্তাহে এই কিট ব্যবহার করে মাত্র ১১ থেকে ৪০ শতাংশ রোগীকে শনাক্তকরণ সম্ভব। তবে যেসব স্থানে আরটি পিসিআর পদ্ধতি নেই অথবা যাদের কোভিড উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও আরটি পিসিআর মেশিনে নমুনা পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ এসেছে, তাদের ক্ষেত্রে এই কিট কিছুটা সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের কিট আন্টিবডি শনাক্ত করতে পারলেও IgM (যা ইনফেকশনের শুরুতেই তৈরি হয়) এবং IgG (ইনফেকশনের বিলম্বিত পর্যায়ে তৈরি হয়) আলাদাভাবে পার্থক্য করতে পারে না। তবে এই কিট কোভিড-১৯ রোগের ব্যাপ্তি বা সেরোপ্রিভ্যালেন্স (seroprevalence) দেখার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আগে যাদের কোভিড-১৯ রোগ হয়েছিল, এই কিটের মাধ্যমে তাদের ৭০ শতাংশকে শনাক্তকরণ সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- বিএসএমএমইউ’র রিপোর্ট পেলে প্রতিক্রিয়া: ড. বিজন কুমার

এদিকে, বিএসএমএমইউয়ের গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের অ্যান্টিবডি কিটের (জিআর কোভিড-১৯ র‌্যাপিড ডট ব্লোট ইমিউনোঅ্যাসে কিট) মূল্যায়ন রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ৯০ হাজারের বেশি। করোনা রোগী শনাক্ত করতে এ পর্যন্ত আরটি পিসিআর পরীক্ষা ব্যবহার করে এলেও অ্যান্টিজেন-অ্যান্টিবডিভিত্তিক টেস্টিং সময়ের দাবি। এ পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর গত ২৯ এপ্রিল বিএসএমএমইউ প্রশাসনকে গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের অ্যান্টিডবডি কিটের বিজ্ঞানসম্মত মূল্যায়নের অনুরোধ করে এবং বিএসএমএমইউকে কনট্রাক্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিআরও) হিসেবে নিয়োগ করে। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ ২ মে ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি গবেষণা দল গঠন করেন। ১৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক রিভিউ বোর্ডে (আইআরবি) অনুমোদনের পর গবেষণা শুরু হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যাল কর্তৃপক্ষের বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণে গবেষণা কার্যক্রম শেষ করতে দেরি হয়েছে। তবে গবেষণা টিম অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে একমাসের মধ্যে কার্যক্রম শেষ করে প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

অ্যান্টিবডি কিট গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বিএসএমএমইউ

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর