বাজেট পোল্ট্রিবান্ধব: বিপিআইসিসি
১৮ জুন ২০২০ ১৭:৩৯
ঢাকা: ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটকে পোল্ট্রিবান্ধব হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে পোল্ট্রি শিল্পের কেন্দ্রিয় সংগঠন ‘বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল’ (বিপিআইসিসি)। এই বাজেট ‘কোভিড-১৯’ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ট্রি শিল্পকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এরইমধ্যে কমতে শুরু করেছে পোল্ট্রি ও মাছের খাবারের দাম।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বিপিআইসিসি’র পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পোল্ট্রি শিল্পবান্ধব বাজেট পেশ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিপিআইসিসি’র সহ-সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, ‘করোনা সংকটে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সার্বিক বিচারে এ খাতে বিনিয়োগকৃত প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল নিঃশেষ হয়ে গেছে। ১৫ থেকে ২০ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। এমন সংকটকালীন সময়ে পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদবান্ধব বাজেট তৃণমূল খামারিদের মাঝে নতুন করে আশা জাগিয়েছে। সরকারের এ আন্তরিক সহযোগিতা পোল্ট্রি শিল্পকে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি যোগাবে।’
ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এফআইএবি) সভাপতি এহতেশাম বি শাহজাহান বলেন, ‘সার্বিক বিচারে প্রস্তাবিত বাজেটে আমরা খুশি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ ইতোমধ্যেই বেশ কিছু ফিড কোম্পানি পোল্ট্রি ও ফিশ ফিডের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। আশা করছি অন্যরাও এ সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন।’
ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) সভাপতি মো. রকিবুর রহমান টুটুল বলেন, ‘করোনার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং ২০২৫ সাল নাগাদ পোল্ট্রি রফতানি শুরু করার প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয়ের লক্ষ্যে আমরা ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধাসহ সব ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলাম। প্রস্তাবিত বাজেট সে প্রত্যাশা শতভাগ পূরণ না করলেও আশা জাগিয়েছে।’
এফআইএবি সাধারণ সম্পাদক মো. আহসানুজ্জামান বলেন, ‘এ মুহূর্তে মূল চ্যালেঞ্জটি হচ্ছে তৃণমূল খামারিদের উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা। মূলধন সংকটের কারণে খামারিরা উৎপাদন শুরু করতে পারছেন না। তাই প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনার দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। তৃণমূল খামারিরা যেন প্রণোদনার সুবিধা থেকে কোনভাবেই বঞ্চিত না হন সেজন্য ভর্তুকি মূল্যে ফিড ও বাচ্চা দেওয়ার প্রস্তাব করছি।’
এগ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইপিএবি) সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘বাজেটের সুফল যেন প্রান্তিক খামারিদের কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পৌঁছে দেয়া যায় সেটাই এ সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন- বাংলাদেশ শাখার (ওয়াপসা-বিবি) সভাপতি ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার বলেন, ‘প্রণোদনার আওতায় খামারিদের দক্ষতা-উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকেও অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। জীব-নিরাপত্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ বাড়াতে হবে। খামারিদের মাঝে বিনামূল্যে জীবানুনাশক ও পানি বিশুদ্ধকরণ ওষুধ বিতরণসহ রোগ প্রতিষেধক টিকা সহজলভ্য করতে হবে।’