মৌলভীবাজারে লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত হচ্ছে গরু, আতংকে খামারিরা
১৮ জুন ২০২০ ২২:২৮
মৌলভীবাজার: জেলা জুড়ে ‘লাম্পি স্কিন’ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গবাদি পশু। জেলার প্রত্যেক উপজেলায় এই রোগ ছড়িয়ে গেছে। গত প্রায় ৩/৪ মাস আগে বিভিন্ন উপজেলায় এ রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে বেশ কিছু গরু মারা যাওয়া খবরও পাওয়া গেছে। এ নিয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছেন খামারিরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, পুরো জেলায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ১১০টি গরু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৫২১টি, রাজনগরে ২২৯টি, কুলাউড়ায় ১ হাজার ৩৫২টি, বড়লেখায় ২ হাজার ১২৬টি, কমলগঞ্জে ২৭৭টি, জুড়ীতে ২৩৭টি, শ্রীমঙ্গলে ১৩৬৮টি হয়েছে। এরমধ্যে কুলাউড়ায় ১০টি, শ্রীমঙ্গলে ৭টি, জুড়ীতে ৩টি গরুর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
প্রাণিসম্পদ সূত্র জানায়, আক্রান্ত গরু প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং খাবার রুচি কমে যায়। জ্বরের সাথে সাথে মুখ দিয়ে এবং নাক দিয়ে লালা বের হয়। পা ফুলে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুটি, খোঁড়া, ফোলা হয় এবং লোম উঠে যায়। ধীরে ধীরে এই গুটি শরীরের অন্যান্য জায়গা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষত স্থান থেকে রক্তপাতও হতে পারে।
লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাবরোধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাছুদার রহমান সরকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘গবাদি পশুর এটি লাম্পি স্কিন ডিজিজ। এ ভাইরাসটি গত বছর আমাদের দেশে এসেছে। তবে মৌলভীবাজারে এ রোগ এখনও কম। এ রোগের যেহেতু কোনো ভ্যাকসিন এখনো বের হয়নি, তাই সাধারণ চিকিৎসাতেই এ রোগ সেরে যায়। তবে মানুষজন অবহেলা করে চিকিৎসা করাতে দেরি করে ফেলার কারণে ভালো হতে সময় লাগে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ভাইরাসবাহিত রোগ। মশা, মাছি ও আঁটালির মাধ্যমে এই রোগ ছড়াচ্ছে। আক্রান্ত গরুর কাছ থেকে মশা, মাছি রোগটি বহন করে অন্য গরুর শরীরে বসলে সেই গরুরও রোগটি হয়ে যাবে। এলাকার মানুষকে সচেতন করতে ইতোমধ্যে আমাদের পক্ষ থেকে প্রচারপত্র বিতরণ করা হচ্ছে।’ গ্রামের মানুষজন যেন আতংকিত না হয় সেজন্য গ্রামে গ্রামে মাইকিং করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।