Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুলিশ কমিশনারের চিঠি ফাঁসের উৎস নয়, দুর্নীতির তদন্ত করুন: টিআইবি


১৮ জুন ২০২০ ২২:১৪

ঢাকা: ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের চিঠি গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি একাধিক সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ফাঁস হওয়া ওই চিঠিটি ছিল পুলিশের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ক।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপকে স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি বলে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, সাংবাদিক তার সংবাদের উৎস প্রকাশ করবেন না— এটাই প্রতিষ্ঠিত নীতি। এখন যদি সাংবাদিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয় যে তাকে কে তথ্য সরবরাহ করেছেন, তাহলে ভবিষ্যতে দুর্নীতির ঘটনার ব্যাপারে কেউ আর মুখ খুলতে সাহস করবেন না। এটা কার্যত স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্যই একটা প্রতিবন্ধক হিসেবে গণ্য হবে। এভাবে সংবাদকর্মীদের চাপের মধ্যে রাখার নীতি আত্মঘাতী, সার্বিকভাবে জনস্বার্থবিরোধী এবং এর ফলে পুলিশের মতো একটি পেশাদার বাহিনী আদৌ তাদের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে আগ্রহী কি না, সেই প্রশ্ন উঠতে পারে।

ড. জামান বলেন, ডিএমপি কমিশনার লিখিতভাবে একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। স্বাভাবিক বিবেচনায় এখন এটাই পুলিশ বাহিনীর মূল বিবেচ্য হওয়া উচিত বলে মনে করি। আলোচিত সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত এই অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ এবং গ্রহণযোগ্য তদন্তকে প্রাধান্য দিয়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তার দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করা উচিত। কিন্তু পুলিশের মতো একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী সেই পথে না গিয়ে বরং চিঠি কী করে গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেল, তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদেরই সম্মানহানি হচ্ছে, তাদের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। তাছাড়া, আভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান করেই জানা সম্ভব চিঠিটা কে ফাঁস করেছেন। অথচ এই পুরো প্রক্রিয়ায় যেভাবে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর দৃশ্যমান একটা চাপ তৈরি করা হচ্ছে, তাতে আমরা দেশের সাধারণ নাগরিক আতঙ্কিত বোধ করছি।

বিজ্ঞাপন

চিঠিটির সত্যতা পুলিশ বাহিনী অস্বীকার করেনি উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, চিঠিটি সত্য হলে যেকোনো এক পক্ষ অবশ্যই দায়ী। অথচ পুলিশ কমিশনারের চিঠিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে কেবল বদলি করার অনুরোধ জানানো হয়েছে, যা কোনো অবস্থাতেই দুর্নীতির জন্য সাজা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। উল্টো পুলিশ বাহিনী এখন সাংবাদিকদের কার্যত হয়রানি করছে।

বর্তমান বাস্তবতায় এ ধরনের দুর্নীতির ব্যাপকতা কতটুকু এবং কারা এ ধরনের অপরাধমূলক কাজে জড়িত, তা চিহ্নিত করে যথাযত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক। এর জন্য দুর্নীতির অভিযোগের বিষযটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দ্রুত তদন্ত শুরু করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

চিঠি ফাঁস টিআইবি টিআইবি’র উদ্বেগ ডিএমপি কমিশনার ডিএমপি কমিশনারের চিঠি দুর্নীতির অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিককে তলব

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর