Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্রিটেনে দক্ষিণ এশিয়দের করোনায় মৃত্যুঝুঁকি বেশি: গবেষণা


১৯ জুন ২০২০ ২০:৪৪

ব্রিটেনে স্থানীয় বা অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসা অভিবাসীদের চেয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ এশিয়দের মৃত্যুঝুঁকি বেশি। যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনটা জানিয়েছে দেশটির বড় একটি গবেষণা। দক্ষিণ এশিয় বংশোদ্ভূতরা ডায়াবেটিস রোগে বেশি আক্রান্ত হওয়ার কারণেই করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকিও বেশি বলে দাবি করেছে ওই গবেষণা। খবর বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান।

ওই গবেষণায় যুক্তরাজ্যের ২৬০টি হাসপাতাল থেকে ৩০ হাজার ৬৯৩ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস এর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মে পর্যন্ত ভর্তি রোগীদের তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা হয়।  এতে দেখা যায় দক্ষিণ এশিয়দের মৃত্যু ঝুঁকি স্থানীয় শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। সমীক্ষার সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়দের মধ্যে ৪০ শতাংশই ডায়াবেটিসে ভুগছেন। এর ফলে তাদের মৃত্যুহারও বেশি।

ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের অধ্যাপক এয়িন হ্যারিসন বলেন, দক্ষিণ এশিয়রা অবশ্যই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে অধিক মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছেন। হাসপাতালে দক্ষিণ এশিয়দের স্বাস্থ্যগত চিত্র অন্যদের তুলনায় একেবারেই ভিন্ন।

তিনি জানান, সাদা চামড়ার স্থানীয়দের চেয়ে দক্ষিণ এশিয় বংশোদ্ভূতরা ২০ শতাংশ বেশি মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছেন। অন্যান্য কোনো জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে এরকম উচ্চ মৃত্যুঝুঁকি লক্ষ্য করা যায়নি।

অধ্যাপক এয়িন হ্যারিসন বলেন, দক্ষিণ এশিয়রা গড়ে অন্যদের তুলনায় ১২ বছর কম বয়স্ক। এটি একটি বিশাল পার্থক্য। তাদের ডিমেনশিয়া, স্থূলতা বা ফুসফুসের রোগ খুব একটা নেই, তবে বেশিরভাগই উচ্চ মাত্রার ডায়াবেটিসে ভুগছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ দক্ষিণ এশিয় করোনা আক্রান্ত রোগী হয় টাইপ ১ নতুবা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন।

গবেষণাটিতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাজ্য কেননা এতে ব্রিটেনের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি প্রতি ১০ জনের মধ্যে চার জনের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ গবেষণায় যুক্তরাজ্যের ২৭টি বড় প্রতিষ্ঠান জড়িত। এছাড়া জড়িত রয়েছে ২৬০টি হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, গণ স্বাস্থবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য ইতিমধ্যে অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এখনও মূল্যায়ন বা স্বাস্থবিষয়ক কোনো জার্নালে এটি প্রকাশিত হয়নি।

করোনা করোনাভাইরাস টপ নিউজ দক্ষিণ এশিয়া


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর