আসামিকে নিয়ে অভিযান, করোনা আক্রান্ত সেই ওসি প্রত্যাহার
১৯ জুন ২০২০ ২০:৪৮
নোয়াখালী: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) আক্রান্ত হওয়ার পরও হত্যা মামলার এক আসামিকে নিয়ে অভিযানে যাওয়ায় সোনাইমুড়ী (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসিকে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই থানায় নতুন ওসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ওসি আব্দুস সামাদ জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে ৯ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে গিয়ে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। পরে ১৫ জুন ওনার করোনা পজিটিভ আসে এবং থানা ভবনের নিজ কক্ষে আইসোলেশনে থাকার কথা। কিন্তু ১৭ জুন বুধবার মাদ্রাসাছাত্র আবুল বাশার ওরফে সাইমুন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মীর হোসেন ঢাকার কদমতলী থানার মোহাম্মদবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের একটি দল। পরে থানার ওসি আবদুস সামাদ আইসোলেশন থেকে বের হয়ে ওই আসামিকে নিয়ে পৌরসভার আলোকপাড়া এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে যান। এ সময় ওসিসহ অন্য পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় আসামি ছাড়াও একাধিক পুলিশ সদস্য ওসির সংস্পর্শে আসেন।
পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ওসি আবদুস সামাদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি নোয়াখালী কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পরিবর্তে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে নতুন ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, তিনি পুলিশ সুপার এর আদেশে থানায় যোগ দিয়েছেন।
গত ৯ জুন মঙ্গলবার বিকেলে আলোকপাড়া গ্রামের বিলে সিদ্দিক উল্লা হাজি বাড়ি ও আশরাফ আলী বেপারী বাড়ির ছেলেদের মধ্যে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া ও কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর সিদ্দিক উল্লা হাজি বাড়ির সাইমুন ও তার ভাই শিমুল মাগরিবের নামাজের পড়ে বাজারের দিকে যাওয়ার সময়, আশরাফ আলী বেপারী বাড়ির মীর হোসেনসহ তার সহযোগীরা ধারালো ছুরি দিয়ে তাদের দুই ভাইকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
এ সময় তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে, তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, চিকিৎসক সাইমুনকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর থেকে মীর হোসেন পলাতক ছিল।