প্রেমঘটিত কারণে রনক খুন : পুলিশ
৬ মার্চ ২০১৮ ১২:২৭ | আপডেট: ৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:৪৪
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: প্রেমঘটিত কারণে পুরান ঢাকার শাঁখারি বাজারে হলি উৎসবে কলেজছাত্র রনক খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে রনক খুন বিষয়ে তথ্য জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি লালবাগ) ইব্রাহিম খান।
রনককে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচজন হলেন রিয়াজ আলম ওরফে ফারহান, ফাহিম আহম্মেদ ওরফে আব্রা, ইয়াসিন আলী, আল আমিন ওরফে ফারাবী খান ও লিজা আক্তার ওরফে মাইসা আলম। তাদের কাছথেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে লাল জোনের ডিসি ইব্রাহীম খান বলেন, ‘মাইসার সঙ্গে আগে রনকের সম্পর্ক ছিল। পরে রনক মাইসার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তুহু নামে অন্য এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করে। কিন্তু তুহুকে অন্য এক ছেলে পছন্দ করত। তুহুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে ওই ছেলে ও রনকের মধ্যে ফেসবুকে কথা কাটাকাটি ও একজন-অন্যজনকে হুমকির ঘটনা ঘটে। তাই ওই ছেলে পরিকল্পনা করে রনককে খুন করার জন্য হলি উৎসবকে বেছে নেয়। যেহেতু রওনকের সঙ্গে মাইসার আগে সম্পর্ক ছিল; তাই মাইসাকে ব্যবহার করে রনককে হলি উৎসবে নিয়ে আসে ওই তরুণ।
ওই তরুণকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। তাই তার নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
ইব্রাহিম খাঁন বলেন, মাইসার কল পেয়ে ১ মার্চ রনক কামরাঙ্গীরচরের বাসা থেকে কলাবাগানে অন্য বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হয়। রনক পৌঁছানোর আগেই ওই তরুণ লক্ষ্মীবাজার কেএফসি রেস্টুরেন্টের সামনে কয়েকজনকে নিয়ে পরিকল্পনা করে এবং কয়েকজনকে ৩-৪টি ছুরি সরবরাহ করে। রনক বন্ধুদের সঙ্গে শাখারি বাজার শনি মন্দিরের সামনে গেলে মাইসা তাকে একপাশে ডেকে নিয়ে যায়। তখন রনককে ঘিরে ফেলে ২০-২৫ জন এলোপাথাড়ি চর-থাপ্পড় মারতে থাকে। একসময় এদের মধ্যে কয়েকজন রনককে ছুরিকাঘাত করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ফারহান নিজেও ছুরিকাঘাত করেছে। মূল পরিকল্পনাকারীসহ জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে তুহুর কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তুহুর দুই প্রেমিকের মধ্যে দ্বন্দের জেরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। কিন্তু ওইদিন তুহুর সঙ্গে তাদের কারো যোগাযোগ হয়নি এবং কথোপকথনের কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি। সে ঢাকার বাইরে ছিল।
লালবাগ বিভাগের ডিসি বলেন, রনক, মাইসা, তুহু কিংবা এই বন্ধুমহলের কেউ কোনো নির্দিষ্ট এক এলাকা কিংবা একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নয়। তাদের সবার ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স। তারা ফেসবুকের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং মাঝে মধ্যেই তারা একসঙ্গে আড্ডা দিত। এদের মধ্যে কলেজ ছাত্র যেমন রয়েছে তেমনি ফলের দোকানি, কয়েল বিক্রেতাও রয়েছে।
‘আসলে তরুণরা কোথায় কী করছে, কোথায় যাচ্ছে এসব বিষয়ে পরিবারের আরো নজরদারি বাড়ানো উচিৎ’ বলেন লালবাগ জোনের ডিসি।
সারাবাংলা/এসআর/এমএইচ/একে