Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি


২১ জুন ২০২০ ১৮:৪৬

ঢাকা: প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসকারী প্রকল্পগুলো বাদ দিয়ে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, দুর্যোগ মোকাবিলায় ও শিক্ষা-কৃষিতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।

রোববার (২১ জুন) তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাজেট ২০২০-২১ জনস্বাস্থ্য ও জাতীয় সম্পদ রক্ষায় সহায়ক না উপেক্ষিত’ শীর্ষক অনলাইন মতবিনিময় সভায় আলোচকরা এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সভার শুরুতে করোনায় নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধা জানানো হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির তাণ্ডব চালাচ্ছে। এই সময় ‘বাজেট ২০২০-২১ প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশবাসী আশাকরেছিল করোনা মোকাবিলা, জনস্বাস্থ্যে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হবে, দেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এমন সকল প্রকল্প বাদ দিয়ে জাতীয় সম্পদ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু দেশবাসী হতাশার সঙ্গে লক্ষ করছে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে জাতীয় আয়ের শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ যা কোনভাবেই নাগরিকদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পারবে না। বাজেটের নীতি তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার্থে। যে কারণে চিকিৎসা ব্যয়ের বড় অংশই মানুষকে খরচ করতে হয় নিজের পকেট থেকে।

সুস্থ-কর্মঠ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার প্রধান শর্ত হলো রোগ যাতে না হয়, তার জন্য নিরাপদ পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা, দ্বিতীয়ত যা মানুষকে অসুস্থ করে বাতাস-পানি, মাটির, পরিবেশ এগুলোর দূষণ কমানো। তারপরও অসুস্থ হলে সরকারি উদ্যোগে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। কিন্তু সরকার সেটা উপেক্ষা করে ব্যবসায়ীদের হাতে স্বাস্থ্যকে ছেড়ে দিয়েছে। যে কারণে মন্ত্রী-এমপিসহ কর্মকর্তারা অসুস্থ হলে ঢাকা মেডিকেল বা করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে না গিয়ে ছুটে যান সিএমএইচে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক যেমন কোন সরকারি হাসপাতালে নয়, করোনার চিকিৎসার জন্যে সিএমএইচে দৌঁড়ান, তেমনি শমরিতা হাসপাতালের মালিক মকবুল হোসেন শমরিতায় না-সিএমএইচে মৃত্যুবরণ করেন।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা নগর কমিটির সমন্বয়ক খান আসাদুজ্জামান মাসুম ও মনির উদ্দীন পাপ্পুর সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এম এম আকাশ, আইইডিসিআরের প্রাক্তন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্ত ডা. মোস্তাক হোসেন, সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজের প্রক্তন অধ্যাপক ডা. হারুনুর রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তানজিম উদ্দীন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সহসম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদীর) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরের সদস্য আকবর খান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জুলফিকার আলী, শহিদুল ইসলাম সবুজ ও মঈনউদ্দীন চৌধুরী লিটনসহ অনেকে।

করোনা বাজেট স্বাস্থ্য

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর