Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় চসিকের আইসোলেশন সেন্টার চালু


২১ জুন ২০২০ ১৯:৫১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: জটিলতা পার করে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় অবশেষে ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার চালু করতে পেরেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এক সপ্তাহ আগে ঘটা করে উদ্বোধন করা হলেও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ নিয়ে জটিলতায় এক সপ্তাহ ধরে সেটি অচল হয়ে পড়েছিল।

রোববার (২১ জুন) তিনজন রোগী ভর্তির মধ্য দিয়ে নগরীর আগ্রাবাদে সীকম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি কমিউনিটি সেন্টারে গড়ে তোলা আইসোলেশন সেন্টারটির যাত্রা শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আইসোলেশন সেন্টারের পরিচালক ডা. সুশান্ত বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘তিনজন রোগী আমাদের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য। তিনি কোভিড পজিটিভ। দুজন করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। তিনজনই পুরুষ।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আখতার চৌধুরী সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, আইসোলেশন সেন্টারে ডাক্তার, নার্স, হেলথ টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট, স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট ৬০ জন দায়িত্ব পালন করছেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে কর্মরত ১৭ জন ডাক্তারকে আইসোলেশন সেন্টারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গত ১৩ জুন নগরীর আগ্রাবাদে সীকম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি কমিউনিটি সেন্টারে গড়ে তোলা ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারটি উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরীর আগ্রাবাদে সিটি কনভেনশন হলে ২৫০ শয্যার এই আইসোলেশন সেন্টারের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মকর্তা-কর্মচারি মিলিয়ে ৪৬ জন নিয়োগের অনুমোদন হয়। প্রথম ধাপে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড মেডিকেল সেন্টারে অস্থায়ীভাবে কর্মরত ১৪ জন চিকিৎসক এবং ২৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ৩৭ জনের নিয়োগ চূড়ান্ত করেছিল স্বাস্থ্য বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

আইসোলেশন সেন্টারে দায়িত্ব পালনের আগে তাদের চাকরি স্থায়ী করার শর্ত দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আখতার চৌধুরী তাদের শর্ত মানার আশ্বাস দিলেও কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এ অবস্থায় প্রশিক্ষণ শুরুর পর ১০ জন চিকিৎসক এবং একজন স্টোর কিপার এতে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। মাত্র চারজন চিকিৎসক যোগদানে সম্মত হলেও তাদের মাধ্যমে ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার চালু করা সম্ভব হয়নি।

এ অবস্থায় গত ১৬ জুন ১০ চিকিৎিসক ও স্টোর কিপারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। পরে নতুনভাবে আবারও কয়েকজন চিকিৎসককে আইসোলেশন সেন্টারে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আইসোলেশন করোনা চিকিৎসক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর