শিক্ষার্থীদের জন্য শুল্কমুক্ত মোবাইল কল দাবি এপিইউবি’র
২৩ জুন ২০২০ ০০:৩০
শিক্ষার্থীদের জন্য শুল্কমুক্ত মোবাইল কলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিনামূল্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সরবরাহ, শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ইন্টারনেট প্যাকেজ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বাজেটে থোক বরাদ্দের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২২ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানায় এপিইউবি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১১ জুন জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ মিলিয়ে মোট ৬৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষাখাতে এ বছরে বরাদ্দ ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ০.০১ শতাংশ বেশি। এছাড়াও বাজেটে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে এক লাখ তিন হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজও রয়েছে। বিশ্বব্যাপী গভীর দুর্যোগপূর্ণ এই সময়ে এমন একটি আশাবাদী বাজেটের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট। এ কারণে ব্যবসায়ের গতিবদল হচ্ছে, বদলে যাচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থাও। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এখন অনলাইনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও গত মার্চের শেষদিক থেকে অনলাইনে পাঠদানে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তবে বাজেটে মোবাইল কলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব কার্যকর করায় তা মোবাইল ইন্টারনেটের জন্যও প্রযোজ্য হয়েছে। এই প্রস্তাব অনলাইনে পাঠগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হুট করে নতুন বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। এ কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য এই শুল্ক মওকুফের দাবি জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি সমিতির পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। এগুলো হলো—
১. মোবাইল কলের ওপর আরোপিত বাড়তি সম্পূরক শুল্ক শিক্ষার্থীদের জন্য পুরোপুরিভাবে প্রত্যাহার করার সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা বিনামূল্যে দেওয়া;
২. মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্যে অতি সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেটের ‘বিশেষ শিক্ষা প্যাকেজ’ ঘোষণার ব্যবস্থা করা; এবং
৩. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দিষ্ট হারে আর্থিক সহযোগিতা দিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে একটি থোক বরাদ্দ রাখা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দ্বিতীয় প্রস্তাবের জন্য এরই মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করেছে এপিইউবি। আর শেষ প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছে সংগঠনটি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বৈশ্বিক মহামারি করোনার চলমান এই সংকট প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্বে দেশ কাটিয়ে উঠবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস এপিইউবি নেতাদের। একইসঙ্গে তাদের আশা, এই সংকটে অন্যান্য খাতের মতো শিক্ষা খাতে তাদের প্রস্তাবনাগুলোও সরকার বিবেচনা করবে।
এপিইউবি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি মোবাইলে শুল্ক শুল্ক মওকুফ