কিট সংকটে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে করোনা পরীক্ষা বন্ধ
২৩ জুন ২০২০ ১০:১৬
নোয়াখালী: জেলার আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে গত এক সপ্তাহ ধরে কিট সংকট চলছে। গত কয়েকদিন অল্পসংখ্যক কিট দিয়ে জরুরিভিত্তিতে কিছু পরীক্ষা করা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার সর্বশেষ ৭টি নমুনা পরীক্ষার পর গত দু’দিন ধরে পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ল্যাবের প্রধান সমন্বয়কারী এবং স্বাচিপ সভাপতি ডা. ফজলে এলাহী খাঁন জানান, গত সপ্তাহ থেকে প্রয়োজনীয় কিটের স্বল্পতা দেখা দেওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদফতরে যোগাযোগ করা হয়েছে। গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত তারা ঢাকায় যোগাযোগ করলে, তাদের আশ্বাস দেওয়া হলেও, কিট দেওয়া হয়নি। ফলে হতাশ হয়ে ফিরে এসেছেন তারা।
আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের ল্যাব প্রধান ডা. দিপন মজুমদার জানান, তারা প্রতিদিন ২ শিফটে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষা করলে সপ্তাহে তাদের প্রয়োজন প্রায় ২ হাজার কিট। গত ১১ মে থেকে এ ল্যাবে প্রায় ৬ হাজার ৭০০ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বর্তমানে পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা রয়েছে ১ হাজার ১৪০টি। এ ল্যাবে নোয়াখালী ছাড়াও ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর জেলার নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
এদিকে, নমুনা জমে থাকার ফলে বড় ধরণের সংকট তৈরি হচ্ছে। কারণ যারা সম্ভাব্য আক্রান্ত হয়েছেন, তারা না জানার কারণে চিকিৎসা নিতে পারছেন না এবং তারা লোকালয়ে জন সংস্পর্শে থাকছেন। ফলে ছড়িয়ে পড়ছে এ সংক্রমণ এবং এমনও ঘটনা রয়েছে রোগি মৃত্যুর পর পরীক্ষার প্রতিবেদন পেয়েছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, কিট দ্রুততম সময়ের মধ্যে নোয়াখালী আনার বিষয়ে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ চট্টগ্রাম থেকে কিছু কিট আনা যায় কিনা সে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যদি কিট না পাওয়া যায়, তাহলে যেগুলো জরুরি সেগুলো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হবে।
তবে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর জানান, আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ থাকায় তাদের ওপর চাপ বেড়েছে। আগে দুই শিফটে পরীক্ষা করলেও এখন চার শিফটে ৩৬০ থেকে ৩৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করছেন তারা।
