Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘করোনামুক্ত’ হয়ে হাসপাতাল ছাড়লেন ডা. সিয়াম


২৩ জুন ২০২০ ১৭:৩০

ঢাকা: জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিভিডি) সহযোগী অধ্যাপক ও আবাসিক সার্জন ডা. আশরাফুল হক সিয়াম হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত এই চিকিৎসকের দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। আরেকটি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এলে তিনি আবার কাজে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

সোমবার (২২ জুন) সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডা. সিয়াম নিজেই। তিনি বলেন, ৭ জুন থেকে মৃদু জ্বর অনুভব করছিলাম। এ সময় ঘ্রাণশক্তি লোপ পাওয়া, অরুচি ও শারীরিক দুর্বলতা অনুভূত করি। পরে নিজ থেকেই হোম আইসোলেশনে চলে যাই। প্রথমদিকে আসলে মনের জোরে বাসায় থাকলেও ধীরে ধীরে উপসর্গগুলো তীব্র হতে শুরু করে। পরে নমুনা পরীক্ষা করলে ১১ জুন কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট আসে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- করোনায় আক্রান্ত হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সার্জন ডা. সিয়াম

ডা. সিয়াম বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে আসায় অক্সিজেন নিতে হচ্ছিল। পরে হাসপাতালে ভর্তি হই। আনোয়ার খান মেডিকেলের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রুবাইয়াত শেখ গিয়াসউদ্দিনের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলাম। সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হওয়ার জন্য দুইটি নমুনা পরীক্ষা করতে হয়। প্রথমটির ফল আজ পেয়েছি, নেগেটিভ এসেছে। তাই আজ বাসায় এসেছি। তিন দিন পরে আরেকবার নমুনা দেবো। তাতে নেগেটিভ ফল পেলে আবারও রোগীদের সেবায় কাজ শুরু করব।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক আরও বলেন, সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া, সবার দোয়া ও ভালোবাসায় আমি এখন কোভিড-১৯ থেকে মুক্ত। আমার জন্য যারা সবসময় ভেবেছেন, দোয়া করেছেন, তাদের প্রতি চিরজীবন ঋণী থাকব।

বিজ্ঞাপন

ডা. সিয়াম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ বি এম আব্দুল্লাহ ও কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার মাধ্যমে নিয়মিত খোঁজ রেখেছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা।

এর আগে ১১ জুন ডা. সিয়াম নিজেই সারাবাংলাকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত করেছিলেন।

উপমহাদেশের সবচেয়ে কম বয়সী কার্ডিয়াক সার্জন ডা. আশরাফুল হক সিয়াম কার্ডিয়াক সার্জন্স সোসাইটি অব বাংলাদেশের (সিএসএসবি) সাধারণ সম্পাদক। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে প্রথমবারের মতো পাঁজরের হাড় না কেটে (এমআইসিএস পদ্ধতিতে) সফলভাবে হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার করা হয় তার নেতৃত্বে। পরবর্তী সময়ে পাঁজরের হাড় ও পা না কেটে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বাইপাস সার্জারির নেতৃত্বও দেন তিনি।

করোনামুক্ত করোনায় আক্রান্ত কার্ডিয়াক সার্জন ডা. আশরাফুল হক সিয়াম ডা. সিয়াম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর