Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কমেছে পেঁয়াজ-রসুন-আদার দাম, ডিম-মুরগি এখনো বাড়তি


২৬ জুন ২০২০ ১৩:৫১

ঢাকা: গত সপ্তাহেও রাজধানীর বাজারগুলোতে দেখা গিয়েছিল, আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিম আর মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। একই প্রবণতা দেখা গেছে চলতি সপ্তাহেও। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সবজি, মাছ, চাল, গরু ও খাসির মাংসের দম। কিছুটা দাম কমেছে পেঁয়াজ-রসুন-আদার। ডিম-মুরগির দাম বাড়ার প্রবণতায় বেশ ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। বাজার মনিটরিং না করার কারণেই কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়ে যায় বলে অভিযোগ তাদের।

শুক্রবার (২৬ জুন) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা ও নতুনবাজার এলাকার কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। অন্যদিকে সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে দেশি মুরগির দাম। একেক কেজির জন্য গুনতে হচ্ছে ৬৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৬০০ টাকা।

মুরগির মতো ডিমের দামও বেড়েছে এ সপ্তাহে, সেটাও নেহায়েত কম নয়— প্রতি ডজনে ২০ টাকা! গত সপ্তাহেও যেখানে ৯০ টাকা ডজন দরে ডিম বিক্রি হয়েছে, সেখানে আজকের বাজারে ডিমের ডজন ১১০ টাকা।

ডিম-মুরগির দাম নিয়ে যারা অসন্তুষ্ট, তারা পেঁয়াজ-রসুন-আদার দামে স্বস্তি খুঁজে নতে পারেন। গত সপ্তাহের ৫০ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে, ১৫০ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে, আর ১৬০ টাকার আদা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

কিছুটা স্বস্তি ছিল সবজির বাজারেও। টমেটো কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, পটলের দাম প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, ঝিঙা-চিচিঙা-ধুন্দল ৩৫ টাকা করে কেজি, কাঁকরোল ৫০ টাকা, কচুর ছড়া ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা, আলু ৩০ টাকা, মূলা ২০ টাকা। সবজির মধ্যে পেঁপে, বেগুন আর কচুর (ছড়া ও লতি) দাম কিছুটা বাড়তি হচ্ছে বলে জানালেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। লাল শাক বা পালং শাক আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন তারা।

মাছ-মাংসের বাজারেও গত সপ্তাহের দামের তুলনায় এ সপ্তাহে তেমন পার্থক্য নেই। আকারভেদে প্রতিকেজি শিং বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, পাবদা ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৬০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, কৈ ছোট ২০০ টাকা ও কাতল ২৫০ টাকা। আর গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়, খাসির মাংস ৮০০ টাকায়।

অপরিবর্তিত রয়েছে চালের বাজারও। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট (নতুন) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া পুরনো মিনিকেট ৬০ টাকা, বাসমতি ৬২ টাকা ও পাইজাম ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বসুন্ধরা কাঁচা বাজারের আঁখি জেনারেল স্টোরের মালিক হজরত আলী সারাবাংলাকে বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে ডিমের দাম বেড়েছে। তবে কমেছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার। আমরা যেমন কিনি, তেমনই বিক্রি করি। আমাদের কিছুই করার থাকে না। দাম বাড়লে কাস্টমারের সঙ্গে ঝগড়া হয়। আর কমলে কোনো সমস্যা নেই। আমরাই পড়ি সবচেয়ে বেশি বিপদে।

বাজার করতে এসেছিলেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জান্নাতুল হুমায়রা। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, অধিকাংশ পণ্যের দাম আগে থেকেই চড়া। সবজির বাজার আগের যেমন ছিল, তেমনই আছে। মাছ-মাংসের বাজারও তাই। সবকিছুর দাম তো আগে থেকেই বেশি। এর মধ্যে কিছু কিছু পণ্যের দাম কিছুটা কমলেও কিছু কিছু পণ্যের দাম বাড়ছেও।

তিনি বলেন, তবে বাজার মনিটরিংটা জরুরি। এখন যে পরিস্থিতি, অনেক মানুষের চাকরি নেই, অনেক মানুষের উপার্জন নেই। এমন একটি সময়ে সবকিছুর দামও যদি এত বেশি থাকে, মানুষ বাঁচবে কী করে!

কাঁচাবাজার ডিমের দাম পেঁয়াজ-রসুন-আদা বাজার বাড়তি দাম মুরগির দাম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর