নারী সাংবাদিকরা যেন ঝরে না পড়ে : স্পিকার
৬ মার্চ ২০১৮ ১৬:২১
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: নারীরা যে উৎসাহ নিয়ে সাংবাদিকতা পেশায় আসে চলার পথে তারা যেন ঝরে না পড়ে সে বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের আরও সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ‘গণমাধ্যমে নারী ও কর্মপরিবেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে পুরো বিশ্বে বাংলাদেশ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তবে যখন কোনো নারী দায়িত্বে আসে, তখন তাকে অনেকগুলো বোঝা মাথায় নিয়ে আসতে হয়। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সমাজে তা অনেক নেতিবাচক বার্তা দেয়। তাই নারীরা পারে এবং অবশ্যই পারবে সেই বিশ্বাস আমাদের মধ্যে থাকতে হবে।’
সাংবাদিকতাসহ সকল নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের আরও সোচ্চার হতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নারীদের জন্য কেবল একটিই পথ, সামনে এগিয়ে যাওয়া। এবং আমাদের এই এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’
অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহমুদা চৌধুরী ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনকে সম্মাননা দেয় হয়।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পড়েন ডিআরইউ এর নারী বিষয়ক সম্পাদক ঝর্ণা মনি।
ঝর্ণা বলেন, এক গবেষণার তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে নারী সাংবাদিকের সংখ্যা ১৬ শতাংশ। এর মধ্যে সংবাদপত্রে ৮ শতাংশ, রেডিওতে ৩৩ এবং টেলিভিশনে ১৯ শতাংশ নারী সাংবাদিক কাজ করে। তবে রেডিওতে ৬৭ শতাংশ এবং টেলিভিশনে ৬৬ শতাংশ উপস্থাপিকা নারী।
তিনি বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবে ১ হাজার ২৫২ জন স্থায়ী সদস্যের মধ্যে নারী সদস্য মাত্র ৭২ জন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের তিন হাজার সদস্যের মধ্যে নারী সদস্যের সংখ্যা ১৬৪ জন। আর রিপোর্টার্স ইউনিটির ১ হাজার ৭৫৪ জন সদস্যের মধ্যে নারী মাত্র ১৩০ জন। গণমাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণের এই চিত্রের সঙ্গে রয়েছে বৈষম্যও।
অনুষ্ঠানে নারী সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাদিরা কিরণ, শহানাজ শারমিন, আঙুর নাহার মন্টি, উম্মুল ওয়ারা সুইটি, শাহনাজ মুন্নি ও সুমি খান।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমআই