লুটপাটের ঘাটতি মেটাতেই বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিল: এলডিপি
২৭ জুন ২০২০ ১৬:৫৫
ঢাকা: বিদ্যুত খাতে সরকারের দুর্নীতি আর লুটপাটের ঘাটতি মেটাতেই ভূতুড়ে বিল প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকদের পকেট কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম।
শুক্রবার (২৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারা এ অভিযোগ করেন।
তারা বলেন, ‘করোনা দুর্যোগের মধ্যে বিদ্যুত বিভাগের ভূতুড়ে বিলের তাণ্ডব জনমনে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এমনিতেই বিদ্যুত বিভাগের দুর্নীতির কোনো ইয়ত্তা নাই। তাদের দুর্নীতির ফলে সারাবছরই কোনো না কোনো গ্রাহককে গুণতে হয় ভূতুড়ে বিলের টাকা।’
তারা বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে বিদ্যুৎখাত থেকে লুট করা অর্থের ঘাটতি মেটাতে বিদ্যুৎ বিভাগের অসাধু ও ঘুষখোর ব্যক্তিরা সাধারণ গ্রাহককে ভূতুড়ে বিল ধরিয়ে দিচ্ছে। প্রতিনিয়ত হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ— এমনটিই অভিযোগ বেশিরভাগ গ্রাহকের।’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘যেখানে একজন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল মাসে ৩-৪ হাজার টাকা হয়, হঠাৎ করে মার্চে এসে ৫২ হাজার টাকা হয়ে যাওয়াটা কত বড় লুট, তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। বিদ্যুত খাতের অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মিলিতভাবে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং কাল্পনিকভাবে এইসব বিল তৈরি করেছে।’
তারা বলেন, ‘সারাদেশে বিদ্যুত বিভাগের কার্যালয়গুলো দুর্নীতিবাজদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ কিংবা অন্য যেকোনো সেবার জন্য অবৈধ লেনদেন এখানে অপরিহার্য—যেন এটাই রীতি। প্রথম ধাপ অপেক্ষা দ্বিতীয় ধাপের ট্যারিফ মূল্য প্রতি ইউনিটে ১.৪৫ টাকা বেশি আর সর্বশেষ ধাপ অর্থাৎ ষষ্ঠ ধাপের ট্যারিফ মূল্য পথম ধাপের ট্যারিফ মূল্যের প্রায় তিনগুণ বেশি। একজন গ্রাহককে এই হিসাবেই মোট ব্যবহৃত ইউনিটের জন্য অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ করতে হয়।’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘ভূতুড়ে বিলে তারা যে অতিরিক্ত ইউনিট যুক্ত করেছেন তার ফলে প্রত্যেক গ্রাহককে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ধাপের সমপরিমাণ ইউনিট ব্যবহার করেও তৃতীয়, চতুর্থ কিংবা ষষ্ঠ ধাপের ইউনিট মূল্য দিতে হবে। অন্যদিকে ডিপিডিসির কর্মকর্তাদের বর্ধিত বিল সমন্বয়ের আশ্বাসও এক ধরনের প্রতারণার কৌশল মাত্র।’