এডিপির বরাদ্দ কমলো ৬৪৯০ কোটি টাকা
৬ মার্চ ২০১৮ ১৬:৫৩
সারাবাংলা করসপনডেন্ট:
ঢাকা: ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫শ ৯৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। মূল এডিপি থেকে ৬ হাজার ৪শ ৯০ কোটি টাকা কমানো হয়েছে সংশোধিত এডিপিতে।
চলতি অর্থবছরে এডিপির আকার ছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সংশোধিত এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তা এবং স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে বরাদ্দ কমেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
ব্রিফিং এ জানানো হয়,সংশোধিত এডিপিতে সরকারের নিজস্ব তহবিলের (জিওবি) অপরিবর্তিত বরাদ্দ রয়েছে ৯৬ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ ৫২ হাজার ৫০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে মূল বরাদ্দ ৫৭ হাজার কোটি টাকা থেকে কমেছে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৯ হাজার ২১৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
এক্ষেত্রে মূল বরাদ্দ ১০ হাজার ৭৫৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা থেকে বাদ গেছে ১ হাজার ৫৪০ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে সংশোধিত এডিপির বাস্তবায়ন অনেক বাড়বে। কেননা আবহাওয়া ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজান হামলার কারণে অনেকটা সময় প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তাই বৈদেশিক সহায়তা থেকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বাদ দিতে হয়েছে। আগামীতে যদি কোন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হয় তাহলে সেটি আমি বিবেচনা করে বরাদ্দ দেব। এই দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী আমাকে দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী।
মুস্তফা কামাল জানান, প্রকল্প যাতে ঘনঘন সংশোধন করা না হয় সেদিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নের মান যাতে নিশ্চিত হয় সেটি খেয়াল রাখতে হবে।
জানানো হয়, সংশোধিত এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, পরিবহন খাতে ৩৭ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা। এছাড়া বিদ্যুৎ খাতে দেয়া হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ২২ হাজার ৪১০ কোটি টাকা এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে ১৬ হাজার ৭৯৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সংশোধিত এডিপিতে অন্যান্য কয়েকটি খাতের বরাদ্দ হচ্ছে, ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাতে ১৫ হাজার ২১৩ কোটি টাকা, শিক্ষা ও ধর্ম খাতে ১৪ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য,পুষ্টি,জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ খাতে ৯ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা, কৃষি খাতে ৫ হাজার ২৮৩ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে সেই সঙ্গে বেড়েছে প্রকল্প সংখ্যাও। মূল এডিপিতে প্রকল্প ছিল ১ হাজার ৩০৮টি। কিন্তু সংশোধিত এডিপিতে এসে মোট প্রকল্প সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৫৮টিতে। ফলে মূল এডিপির তুলনায় সংশোধিত এডিপিতে প্রকল্প বেড়েছে ৩৫০টি। এছাড়া সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দহীনভাবে সংযুক্ত অনুমোদনহীন প্রকল্প রয়েছে ১ হাজার ২৭টি। বৈদেশিক সহায়তা প্রাপ্তির সুবিধার্তে অনুমোদন ও বরাদ্দহীন ভাবে ২৬৮টি প্রকল্প যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া পিপিপির (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনাশিপ) প্রকল্প রয়েছে ৩০টি। এছাড়া ৩০০টি প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
(সারাবাংলা/জেজে/ জেএএম)