ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক কাজল রিমান্ডে 

ঢাকা: ফটোসাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২৮ জুন) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী (ভার্সোয়াল) এ আদেশ দেন। শফিকুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও রিপন কুমার বড়ুয়া।

এসময় হাজারীবাগ থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাসেল মোল্লা  মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে আজ শফিকুল ইসলাম কাজলকে আদালতে হাজির করা হয়নি। কারাগার থেকেই তাকে উপস্থিত দেখানো হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (২৪ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভার্চুয়াল কোর্টের বিচারক ধীমান চন্দ্র মন্ডল তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের (বর্তমানে বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে দৈনিক মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে গত ৯ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শিখর।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, মানবজীবন পত্রিকার রিপোর্টার আল-আমিন, ফেসবুক আইডি শফিকুল ইসলাম কাজল, প্রিন্স ফাহিম, আরিফুল ইসলাম আরিফ, ফরহাদ খান, জুয়েল আহমেদ, মোহাম্মাদ মোসলেম, মো. মিজানুর রহমান, মোর্শেদ আলম, কাকন আবু হানিফ, মো. রুবেল, আয়েশা আমান, মো. শামিম আক্তার, মো. সাত্তার মৃধা, মো. তৌফিক, মিলি হাসান, হাবিব আদনান, ঋষি কান্ত, মো. সোহেল হোসেন, ছালে আহমেদ, জসিম উদ্দিন জসিম, মো. খাইরুল ইসলাম, হেদায়েতুল ইসলাম, মো. মাহফুজ আহমেদ, এম এ মামুন, মো. হেলাল, সেলিম চৌধুরী, ইস্পাত মোহাম্মাদ, বেলায়েত হোসেন, মারুফ রাজু ও মকটেল হোসেন মুক্তি।

মামলাটি দায়েরের পর গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের পক্ষকাল অফিস থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন শফিকুল ইসলাম কাজল।

নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে কাজলকে আটক করে বিজিবি। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

আরও পড়ুন: জামিন মেলেনি ফটোসাংবাদিক কাজলের