শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ-মুসলিম সংঘর্ষ : জরুরি অবস্থা জারি
৬ মার্চ ২০১৮ ১৭:৫৩
সারাবাংলা ডেস্ক
বৌদ্ধ ও মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে যেতে পারে এ আশঙ্কায় ১০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। খবর রয়টার্সের।
দেশটির সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার মধ্য অঞ্চলে ক্যান্ডি জেলায় এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরে আজ (মঙ্গলবার) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
একটি অসমর্থিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ দাঙ্গার সূত্রপাত। কয়েকটি সনাতন বৌদ্ধ গোষ্ঠীর অভিযোগ, শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছে। বৌদ্ধদের পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন ভাঙার অভিযোগও রয়েছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে।
এদিকে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা মুসলমানরা অনেকেই শ্রীলঙ্কায় আশ্রয় নেন। এতে দেশটির কয়েকটি কট্টর বৌদ্ধ দল নাখোশ ছিলেন। গত এক বছর ধরেই মুসলিম ও বৌদ্ধদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।
সোমবার ক্যান্ডিতে ইসলাম অনুসারী এক ব্যবসায়ীর দোকানে আগুন লাগার মাধ্যমে দাঙ্গার শুরু হয়। দাঙ্গা থামাতে ক্যান্ডিতে সেনা ও এলিট ফোর্স পাঠানো হয়। সেখানে অভিযান চালানো হয় এবং সান্ধ্য আইনও জারি করা হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিসভায় জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। শ্রীলঙ্কা সরকারের মুখপাত্র দয়াসিরি জয়াসেকারা রয়টার্সকে জানায়, দাঙ্গা বাড়তে পারে এ আশঙ্কায় ১০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, যারা ফেইসবুকের মাধ্যমে দাঙ্গার উসকানি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্রীলঙ্কার ২ কোটি ১০ লাখ জনগণের মধ্যে ৯ শতাংশ মানুষ মুসলিম। বাকি ৭০ শতাংশ মানুষ বৌদ্ধ বাকি ১৩ শতাংশ তামিল নৃগোষ্ঠীর, তারা হিন্দু।
দেশটি ২০০৯ সালেই তামিল বিরোধীদের সঙ্গে ২৬ বছরের যুদ্ধ শেষ করেছে। মুসলিম জনগোষ্ঠীরা এসব গণ্ডগোল থেকে এতদিন নিজেদের দূরেই রাখত। এখন তারাও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ল।
সারাবাংলা/এমএ