Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জরিমানা ছাড়া পরিশোধের সময় শেষ, বাড়তি বিলের সমন্বয় অনিশ্চিত


২৯ জুন ২০২০ ১৭:৩৯

ঢাকা: সারচার্জ ছাড়া বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধের সময় শেষ হচ্ছে কাল। গ্রাহকরা আরও সুযোগ পাবেন কিনা সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বরং বাড়তি বিল নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তা দ্রুত সমাধান করতে বিতরণ কোম্পানিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বিল সমন্বয় করার কথা বলা হলেও সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।

সোমবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। একইসঙ্গে যারা এই বাড়তি বিল করেছেন তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এসব জটিলতা দূর করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে জন্য ৬ দফা পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের করা এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ছয় দফা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কয়েক মাসের ইউনিট একত্র করে একসঙ্গে অধিক ইউনিটের বিল না করা, মাসভিত্তিক আলাদা আলাদা বিল তৈরি করা, একসঙ্গে অধিক ইউনিটের বিল করে উচ্চ ট্যারিফ চার্জ না করা, ত্রুটিপূর্ণ বা অতিরিক্ত বিল দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা করা, মে মাসের বিদ্যুৎ বিল (যা জুন মাসে প্রস্তুত হচ্ছে) মিটার দেখে সঠিকভাবে তৈরি করা এবং মোবাইল, বিকাশ, জি পে, রবিক্যাশ, অনলাইনে ঘরে বসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সুযোগ সৃষ্টি করা।

এদিকে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাড়তি বিলের জটিলতা দূর করতে টাস্কফোর্স কাজ করছে। বিতরন কোম্পানিগুলোকে সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছে বাড়তি বিলের জটিলতা দূর করতে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতেও নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে বিল সমন্বয় করার কথা বলা হলেও এখনও সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিদ্যুৎ বিতরন কোম্পানি ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করবো। পাশাপাশি গ্রাহক নিজেও বিতরণ কোম্পানির স্থানীয় অফিসকে জানিয়ে অভিযোগ করতে পারবেন। ৩০ জুন পর্যন্ত জরিমানা ছাড়া বিদ্যুত বিল দেওয়ার সিদ্ধান্তই আপাতত বহাল রয়েছে। সময় আর বাড়ানো হবে কিনা সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি।’

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন চলাকালে গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে বিতরণ কোম্পানির কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিড করতে পারেনি। যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে মনগড়া বিল তৈরি করে পাঠানোর অভিযোগ ওঠে। ফলে দুই থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বাড়তি বিল এসেছে গ্রাহকদের হাতে। এ নিয়ে অভিযোগ করলেও বিতরণ কোম্পানিগুলো প্রথমে তা অস্বীকার করে। কিন্তু হাজার হাজার অভিযোগ যখন মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়ায় তখন বিল সমন্বয়ের কথা আসে। এ ঘটনা কেন ঘটলো, কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে দুটি কমিটি গঠন করে বিদ্যুৎ বিভাগ। কমিটিকে ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।

টপ নিউজ বকেয়া বিল বাড়তি বিল সারচার্জ সিদ্ধান্ত হয়নি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর