Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিদেশে কর্মী পাঠাতে কোনো সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না’


৬ মার্চ ২০১৮ ১৮:৫৬

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, ‘বিদেশে কর্মী প্রেরণে কোনো সিন্ডিকেট গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কোনো সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। দুষ্ট চক্রের হাত থেকে অভিবাসন প্রক্রিয়াকে মুক্ত করতে হবে।’

রাজধানীর একটি হোটেলে মঙ্গলবার বিকেলে জার্নালিস্ট ফোরাম অন মাইগ্রেশন (জেএফএম) আয়োজিত ‘বিশ্ব শ্রমবাজার ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, ‘অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও অধিকতর সহজ, নিরাপদ, স্বচ্ছ, টেকসইসহ অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল তৈরি, উপযুক্ত কর্মপরিবেশ, সঠিক মজুরি নির্ধারণ করার লক্ষ্যেও আমরা কাজ করছি।’

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা বিদেশে অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করছে। বর্তমানে এই প্রোফেশনের সাথে অনেক ভাল ও শিক্ষিত উদ্যোক্তরা যুক্ত হওয়ায় এই খাতে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসে নারী কর্মীদের সুরক্ষায় তাদের বিদেশে পাঠানোর আগে অধিকতর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে প্রেরণ করা উচিত। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কুয়েতের শ্রমবাজারের জটিলতা নিরসনে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন।’

সংগঠনের সভাপতি মনির হোসেনের সভাপতিত্বে সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শ্রম-অভিবাসন বিশ্লেষক ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবীর। আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হক ও সহ-সভাপতি মোরছালীন বাবলা প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

মূল প্রবন্ধে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি শ্রম অভিবাসীর সংখ্যা ১ কোটি ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৯ জন। বিশ্বের ১৬৫টি দেশে দেশে বাংলাদেশের শ্রম অভিবাসীরা কাজ করছে। তবে আমাদের শ্রম অভিবাসীদের বড় অংশ প্রধানত ১১টি দেশে কর্মরত রয়েছে। দেশগুলো হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইইউ), ওমান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, লেবানন, জর্ডান ও লিবিয়া।’

কিরণ বলেন, ‘গত বছর রেকর্ডসংখ্যক সাড়ে দশ লক্ষ কর্মী প্রেরণ করার সফলতা থাকলেও অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাটা ছিল আমাদের বড় ব্যর্থতা। তবে জিরো মাইগ্রেশনে নারীকর্মী প্রেরণ আমাদের বড় এক সাফল্য। যার ফলে স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা অথবা হতদরিদ্র নারীদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দারুণ এক প্রভাব ফেলছে। অদক্ষকর্মী প্রেরণের পাশাপাশি বেশি করে দক্ষকর্মী ও প্রফেশনালস প্রেরণ বেশি মনোযোগী হতে হবে।’

পরে মন্ত্রী জেএফএমের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে অভিবাসন বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক ও বিদেশ ফেরত অভিবাসীকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/জিএস/আইজেকে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সিটিকে রুখে দিল নিউক্যাসেল
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৮

সম্পর্কিত খবর