‘করোনা পরীক্ষার খরচ রাষ্ট্রের ব্যয় নয়, বিনিয়োগ’
৩০ জুন ২০২০ ১৯:২১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সরকারিভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য ফি নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রের বিরোধিতা করেছেন নাগরিক সংকট নিয়ে চট্টগ্রামে আন্দোলনরত সংগঠন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন। ফি নির্ধারণ করায় জনগণ নমুনা পরীক্ষার আগ্রহ হারাবে এবং এতে করোনার সংক্রমণ বাড়বে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজন।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সুজন বলেন, ‘বলা হচ্ছে যে অপ্রয়োজনীয় কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা পরিহার করার জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এর ফলে জনগন নমুনা পরীক্ষার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এতে সংক্রমণের হার বাড়বে। সরকারের নীতিনির্ধারকদের বুঝতে হবে যে, করোনার নমুনা পরীক্ষায় যে খরচ লাগছে সেটা রাষ্ট্রের ব্যয় নয়, সেটা বিনিয়োগ।’
তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য যখনই পরীক্ষার হার বাড়ানো দরকার তখনই কিছু কুচক্রী মহল তাদের নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে। তারা সরকারের বন্ধু সেজে জনগণ এবং সরকারের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মাস্ক কেলেংকারি, নিম্নমানের পিপিই ক্রয়সহ স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এ চক্রটি।’
করোনা চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহের জন্য সমাজের সক্ষম ব্যক্তিদের কাছ থেকে করোনা ট্যাক্স আদায়ের বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন সুজন। এছাড়া তিনি অবিলম্বে এই পরিপত্র প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক পরিপত্রে বলা হয়, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নিমিত্তে ‘অপ্রয়োজনীয় এসব কভিড টেস্ট’ পরিহার করা লক্ষ্যে এমতবস্থায় ফি নির্ধারণ করা হলো।
ফি-এর বর্ণনায় বলা হয়, আরটি-পিসিআর টেস্টের জন্য এখন থেকে বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য ২০০ টাকা, বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীর ক্ষেত্রে ২০০ টাকা ফি দিতে হবে।