চলাচলে বিধিনিষেধ শিথিল, দোকানপাট ৭টা পর্যন্ত খোলা
৩০ জুন ২০২০ ২১:৫৯
ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলাচলে বিধিনিষেধের সময়সীমা আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে এ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনায় আগের বিধিনিষেধগুলো আরও কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত। দোকানপাট খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
পাশাপাশি ‘রেড জোন’ চিহ্নিত এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঈদুল আজহা সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসানোর অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বাড়লো ৩০ জুন পর্যন্ত
মঙ্গলবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার এক চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরীর সই করা আদেশ অনুযায়ী, সাপ্তাহিক ছুটিসহ ঈদের ছুটির দিনগুলোও ১ জুলাই থেকে আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত এই বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, কর্মস্থলে যাতায়াত, ওষুধ কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি) কেউ বাসস্থানের বাইরে যেতে পারবে না। বাসস্থানের বাইরে মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। এর আগে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল।
আগের মতোই্ হাটবাজার, দোকানপাটে বেচাকেনার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন অফিস-কারখানা খোলা রাখা এবং গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। একইভাবে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত। ধর্মীয় উপাসনালয়কে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা প্রতিপালন করতে বলা হয়েছে। কেবল দোকানপাট আগে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার সুযোগ থাকলেও এখন দুই ঘণ্টা বাড়িয়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন এই নির্দেশনায় করোনা সংক্রমণের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে লকডাউন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ঈদুল আজহার সময় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কোরবানির পশুর হাট আয়োজনের অনুমতি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঈদের সময়ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন ও জনচলাচল অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশনায়।