বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন-বোনাসের নিশ্চয়তা চেয়ে রিট
৩০ জুন ২০২০ ২২:৪১
ঢাকা: দেশের বেসরকারি মেডিকেলের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন স্কেল অনুসারে বেতন-বোনাসের নিশ্চয়তা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের শর্ত ভঙ্গ করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন না দিলে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে।
একটি বেসকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এএসএম এ নুরের পক্ষে আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান ও জামিউল হক ফয়সাল মঙ্গলবার (৩০ জুন) এ রিট দায়ের করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) সহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, ‘বেশ কিছু গণমাধ্যমের সংবাদ পর্যালেচনা করে দেখা গেছে— চলমান পরিস্থিতিতে দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা বোনাস পাচ্ছেন না। অনেক প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকদের বেতন অর্ধেক করে দেয়া হয়েছে। আবার কোন কোন হাসপাতালে বেতন দেওয়া হচ্ছে না, বরং জোড়পূর্বক ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা পৃথিবীতে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি ভরসা এবং বিশ্বাসের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রাষ্ট্র। এমনকি ঘানার মত দেশেও চিকিৎসকদের বেতন ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে আমাদের দেশে চিকিৎসকদের প্রতি বিরূপ আচরণ করা হচ্ছে। তাদের বেতন কেটে নেয়া হচ্ছে, এমনকি বাড়ি থেকেও উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। একদিকে চিকিৎসকদের শারীরিক, মানসিক এবং অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে, অন্যদিকে তাদের কাছ থেকে সেরা সেবা আশা করা হচ্ছে।’
রিট আবেদনে আরও বলা হয়, ‘২০১১ সালে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সংক্রান্ত জারিকৃত পলিসিতে কর্মরত চিকিৎসকদের চাকরির বেতনের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন ২ মে এক চিঠিতে উল্লেখ করে, তাদের আর্থিক অবস্থা নাজুক, তারা চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট কারও বোনাস দেবেন না, চিকিৎসকদের বেতন ৪০ শতাংশ কেটে নেয়া হবে। যে সকল চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী ২৪ ঘন্টা কাজ করবেন তাদের সম্পূর্ণ বেতন দেওয়া হবে। পরবর্তীতে চিকিৎসকদের জোরালো প্রতিবাদে ৪ মে মানবিক কারণ দেখিয়ে জারিকৃত আগের আদেশটি প্রত্যাহার করা হয়।’
রিট আবেদনে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ এবং ৩১ অনুচ্ছেদে মানুষের জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। তাই করোনা মহামারির সময়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অর্থনৈতিক, মানসিক ও শারীরিকভাবে সবল রাখা খুবই জরুরী, কারণ তারাই আমাদের ফ্রন্ট লাইনার।’