শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া ৫০ ভাগ কমানোর দাবিতে মানববন্ধন
১ জুলাই ২০২০ ১৯:২২
ঢাকা: কারোনাভাইরাস মহামারিরে কারণে সৃষ্ট সংকটের সময় শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া ৫০ ভাগ কমানোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা এ দাবি তুলে ধরেন।
গোলাম মোস্তফা জানান, মহামারি এবং সংকটের সময় জনগণের দায়িত্ব নিতে না পারলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই সরকারের। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরা যারা মেসে থাকেন তারা চরম দুর্ভোগের মধ্যে আছেন- সেদিকে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। অনেক মেস মালিক আছেন মেস ভাড়াই যাদের উপার্জনের একমাত্র উপায়- এ ধরনের মেস মালিকরা চরম বিপর্যয়ের মধ্যে আছেন। মেস ভাড়ার ওপর নির্ভরশীল মেস মালিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে মহামারিকালীন বিশেষ ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে শিক্ষার্থীসহ সারাদেশের জনগণ এক দমবদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে হাঁসফাঁস করছেন। সরকারের ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন সারাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে গিলে খেয়েছে। দুর্নীতি, লুটপাট এবং অব্যবস্থাপনা সব জায়গাতে বিরাজমান। মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না; স্বল্প আয়ের মানুষেরা কাজের অভাবে, খাদ্যাভাবে এবং পুষ্টিহীনতায় দিনাতিপাত করছেন। শ্রমিকরা ছাঁটাইয়ের শিকার। পাটকল শ্রমিকদের জীবন-জীবিকাও হুমকির মুখে। যারা মানুষের বাক-স্বাধীনতা, স্বাধীন মতপ্রকাশ ও সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুঃশাসনের গঠনমূলক সমালোচনা করছেন তাদেরকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হচ্ছে, মামলা দেওয়া হচ্ছে, রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি জানান, যারা দেশের মানুষের অধিকার ও হক মেরে খাচ্ছেন, ত্রাণ লুটপাট করছেন, দেশের সম্পদ পাচার করছেন, ব্যাংক লোপাট করছেন তাদেরকে বিদেশে চলে যেতে সহায়তা করছে সরকার। গণশত্রু ও অপরাধীদের পক্ষ নিয়ে সরকার তার স্বৈরাচারী চেহারাকে আরও স্পষ্ট করছে। সরকার ক্ষমতার মোহে এবং গদি রক্ষায় এতটাই ব্যতিব্যস্ত যে জনগণের জীবন-জীবিকার দিকে তাকানোর ফুরসতটুকুও নেই। সরকারের স্বৈরাচারী দুঃশাসন ও অব্যবস্থাপনার কারণে জনগণ আজকে সংকটের অতল গভীরে নিমজ্জিত। স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন বন্ধ করে শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগণের জীবন জীবিকার দায়িত্ব নিতে অপারগ হলে গদি ছেড়ে চলে যান।
কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন। এছাড়া ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিক রেজা, ভারপ্রাপ্ত অর্থ সম্পাদক নবীন আহমেদ, রাজশাহী মহানগর শাখার সম্পাদক জিন্নাত আরা সুমু, ঢাকা মহানগর শাখার সম্পাদক রূপক রায়সহ অনেকে।