৪৭ হাজার গ্রামপুলিশকে জাতীয়করণের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
২ জুলাই ২০২০ ১৩:১১
ঢাকা: গ্রামপুলিশ বাহিনীর ৪৭ হাজার সদস্যকে জাতীয়করণ সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে। রায়ে গ্রামপুলিশের মধ্যে মহল্লাদারদের জাতীয় বেতন স্কেলের ২০তম গ্রেড এবং দফাদারদের ১৯তম গ্রেডে বেতন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর এ রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ। সম্প্রতি এ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ন কবির, মো. মোজম্মেল হক, মোহাম্মদ কাওসার, মোহাম্মদ মাজেদুল কাদের ও নূর আলম সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইলিন ইমন সাহা, শায়রা ফিরোজ ও মাহফুজুর রহমান লিখন।
১৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১ মোতাবেক আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে তথা ন্যায্য প্রাপ্যতা থেকে তথা ন্যায্য প্রত্যাশা থেকে তথা আইনসম্মত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না।
‘বর্তমান মোকাদ্দামায় দরখাস্তকারীগণসহ সকল মহল্লাদার ও দফাদারগণের ন্যায্য অধিকার বিধিমালা ২০১১ অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি পাওয়া কিন্তু প্রতিপক্ষগণ স্পষ্টত: দরখাস্তকারীগণসহ সকল মহল্লাদার ও দফাদারগণকে ন্যায্য অধিকার থেকে বেআইনিভাবে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত করে আসছে।’
রায়ের আদেশ অংশে বলা হয়, ২০১১ সালের ২ জুন হতে মহল্লাদারগণকে জাতীয় বেতন স্কেল-২০০৯ (বর্তমানে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫) এর ২০তম গ্রেডে বেতন ভাতাদি প্রদান করতে এবং দফাদারগণকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ (জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫)-এর ১৯তম গ্রেডে বেতন ভাতাদি প্রদান করতে প্রতিপক্ষগণকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
আদেশে আরও বলা হয়, ২০১১ সালের ২ জুন তারিখের পর হতে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) কর্মচারী চাকুরী বিধিমালা-২০১১ বহির্ভূতভাবে মহল্লাদার ও দফাদার এর যেকোনো নিয়োগ অবৈধ ও বেআইনি মর্মে গণ্য হবে। উক্ত তারিখের পর হতে বিধিমালা ২০১১ বহির্ভূত যেকোনো নিয়োগ আপনা আপনি বাতিল।
ঢাকার ধামরাইয়ের টুপিরবাড়ীর হাটকুশারা এলাকার বাসিন্দা লাল মিয়াসহ কয়েকজন গ্রাম পুলিশ সদস্যের করা রিটে ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রায় ঘোষনা করেন।