Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা’


৩ জুলাই ২০২০ ২৩:২৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ইস্যুতে সরকারের সমালোচনাকে ‘যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা’ হিসেবে মূল্যায়ন করছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি ভালো। অনেকে অনেক কথা বলেন। পৃথিবীর কোনো দেশ করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল না। চীন তো প্রথমে স্বীকারই করেনি। আমরা সীমিত সামর্থ্য নিয়ে মোকাবিলা করছি। আমাদের মৃত্যুর হার ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে কম, ইউরোপের চেয়ে তো অনেক কম। যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা— এই মনোবৃত্তি থেকে সমালোচনা উচিত নয়।’

শুক্রবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত করোনাকালীন সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১৩৬ জন সাংবাদিককে করোনাকালীন সহায়তা এবং ২৫ জনকে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের নিয়মিত সহায়তার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে।

বৃহৎ রাষ্ট্রগুলো সামরিক খাত নাকি সুরক্ষা খাতে বেশি ব্যয় বরাদ্দ দেবে— সেটা ভাবার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় পৃথিবীর সমৃদ্ধ রাষ্ট্রগুলো তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আর সামরিক শক্তির কোনোকিছুই কাজে লাগাতে পারছে না। একে অন্যের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য বিপুল অর্থ যারা ব্যয় করেছে, ক্ষুদ্র ভাইরাস তাদের অসহায় করে দিয়েছে। আমাদের গভীরভাবে ভাবা দরকার, আমরা সামরিক ব্যয় বাড়াব নাকি মানুষের সুরক্ষা ব্যয় বাড়াব।’

করোনার শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক বিশেষজ্ঞ করোনা নিয়ে নানা মতামত দিয়েছেন। কিন্তু সবার মতামত ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশে গেল সাড়ে তিন মাসে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। অনেকে আশা করেনি এরকম সরকারি সাহায্য দেওয়া হবে। বাংলাদেশে ৭ কোটি মানুষ সরাসরি ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে। কেবল সরকার নয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। অনেক মন্ত্রী-এমপি আক্রান্ত, দলের কেন্দ্রীয় তিন নেতা মৃত্যুবরণ করেছেন যারা ত্রাণ তৎপরতায় যুক্ত ছিলেন।’

করোনাকালে সাংবাদিকদের চাকুরিচ্যুতিকে অমানবিক উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আমরা নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা করেছি। কিন্তু সম্পাদকরা তা বাস্তবায়ন করেননি। করোনা আসার পর আমরা অনুরোধ করে আসছিলাম পাওনা পরিশোধ করতে আর চাকুরিচ্যুত না করতে। কিন্তু মালিকরা নিজেদের অসুবিধার কথা বলেছেন। কর্মীদের প্রতি মালিকদের মানবিকতা না দেখানো দুঃখজনক। মানবিকভাবে বিবেচনা করলেই সব সমস্যা সমাধান হয়ে যেত।’

সিইউজে’র সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী।

উল্লেখ্য করোনাকালীন সহায়তার জন্য নির্ধারিত সাংবাদিকদের প্রত্যেককে সরকারের তরফ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

করোনা মোকাবিলা টপ নিউজ ডিইউজে তথ্যমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের সহায়তা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর