দুর্ভোগে কুড়িগ্রামের বানভাসি মানুষেরা
৪ জুলাই ২০২০ ১৯:০৫
কুড়িগ্রাম: গত ১১ দিন ধরে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের লক্ষাধিক বানভাসি মানুষের। বেশিরভাগ পরিবারের ঘর-বাড়ি থেকে এখনও বন্যার পানি নেমে যায়নি। এ অবস্থায় হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় খাদ্যসংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে বন্যা কবলিত হতদরিদ্র পরিবারগুলোর। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে শিশু ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে রয়েছেন বানভাসি মানুষজন। পাশাপাশি পানি বাড়া-কমার সাথে সাথে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারের বেশ কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেল ৩টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ৩ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত। এখনও এই পরিবারগুলোর ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে যায়নি। করোনা আর বন্যায় এই পরিবারগুলো খাদ্যসংকটে পড়েছে। আমি সরকারিভাবে মাত্র ৩০০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা পেয়েছি, যা ৩০০ পরিবারকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’ জরুরিভিত্তিতে বন্যাদুর্গত এলাকায় শিশু ও গবাদি পশুর খাদ্য বিতরণ করা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে ২০০ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলোরও বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে বন্যা কবলিত এলাকার শিশু ও গবাদি পশুর খাবারের বরাদ্দ পাওয়া যাবে। পাওয়া মাত্রই তা বিতরণ করা হবে।