পোস্তগোলায় প্রত্যয়ের ধাক্কা, সেতুর উচ্চতাকে দুষছে বিআইডব্লিউটিএ
৫ জুলাই ২০২০ ০০:৪১
ঢাকা: সদরঘাটে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নি বার্ড ডুবির পর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ঘটনাস্থলে পৌঁছতে গিয়ে ধাক্কা খায় পোস্তাগোলা সেতুর সঙ্গে। এতে সেতুর বিম ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ জন্য সেতুর উচ্চাতাকে দায়ী করেছে বিআইডব্লউটিএ। যদিও ওইদিন আর প্রত্যয় ঘটনাস্থলে পৌঁছুতে পারেনি। পরে দেশীয় পুরাতন পদ্ধতিতেই উদ্ধার করা হয় ডুবে যাওয়া মর্নিং বার্ড। কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হয় ৩৬ যাত্রীর।
এদিকে বিআইডব্লউটিএ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার নদীগুলোর ওপর এমন ত্রুটিপূর্ণ আরও ১৩টি সেতু রয়েছে। যেখানে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা ঘটলে একই ধরণের অবস্থার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, ১৩টি সেতু ত্রুটি থাকার পরও নতুন করে যেসব সেতু হচ্ছে সেগুলোও একইভাবে ত্রুটিপূর্ণ উচ্চতায় নির্মাণ করা হচ্ছে। আর নৌ-পরিবহন বিশেষজ্ঞ সৈয়দ মনোয়ার হোসেন মনে করেন, নদ-নদীর সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে যে ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স দরকার, সেটি নেওয়া হয় না।
এ নিয়ে বিআইডব্লউটিএ চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক বলেন, ‘সেতুতে সঠিক উচ্চতার বিষয় নিয়ে অতীতে তেমন চিন্তাভাবনা হয়নি। আমরা ২০১১ সাল থেকে ব্রিজের বিষয়ে ক্লিয়ারেন্স ঘোষণা করেছি মাত্র।’
উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় কেন ব্রিজে আঘাত হানলো? এভাবে জানতে চাওয়া হলে জাহাজের কমান্ডার মো. জহির উদ্দিন বলেন, ‘সেতু পার হওয়া জন্য জাহাজে পানি ভরে উচ্চতা ৬১ ফুট থেকে ৪৮ ফুটে নামানো হয়। তাপরও সেতুর একেবারে কাছে আসার পর যখন দেখা যায় সেটি ব্রিজে ধাক্কা খেতে পারে, তখন জাহাজের মাস্টার খায়রুল ইসলাম এটিকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে স্রোত আর বাতাসের টানে জাহাজের সামনের অংশ (বুম) সেতুর গার্ডারে ধাক্কা খায়।’
তবে ব্রিজে উদ্ধাকারী জাহাজের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় প্রত্যয় পরিচালানাকারীরা দায়ী বলে মনে করেন বিআইডডব্লউটিএ’র চেয়ারম্যান সাদেক।
এদিকে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর পোস্তগোলা সেতুর ক্ষতিগ্রস্থ অংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। রোববার (৫ জুলাই) ব্রিজের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ ও মেরামত ব্যয়ও জানা যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান।
উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ডুবি পোস্তগোলা ব্রিজ বিআইডব্লিউটিএ বিম মর্নিং বার্ড