Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চার বছরেও মেলেনি জমি, নড়াইলে থেমে আছে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কাজ


৫ জুলাই ২০২০ ১৮:৪৩

নড়াইল: অনুমোদনের ৪ বছর পার হলেও শুধুমাত্র জায়গার অভাবে নড়াইলে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কাজ শুরু হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জায়গা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কলেজের কাজ থেমে আছে। তবে জুলাই মাসের মাঝামাঝি জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হতে পারে। যদিও একইসঙ্গে একনেকে পাস হওয়া দেশের খুলনা, বরিশাল, রংপুর এবং নওগাঁ জেলায় এ প্রকল্পের প্রযুক্তি কলেজগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নির্মাণের জন্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরে একনেকে ৩৬৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে এটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। জেলা প্রশাসন নড়াইল-লোহাগড়া সড়কসংলগ্ন মালিবাগ এলাকায় সীমাখালী ও বোড়াবাদুরিয়া মৌজায় আট একর জমি নির্ধারণ করলেও স্থানীয় জমির মালিকরা কলেজ নির্মাণের বিরোধিতা শুরু করলে কাজটি পিছিয়ে। পরে শহরের অন্য কোনোখানে ভালো জায়গা না পাওয়ায় এখানেই কলেজটি নির্মাণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।

বিজ্ঞাপন

নড়াইল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল হক জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে একনেকে এ কলেজটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কলেজটির নাম দেন ‘প্রকৌশলী খান হাতেম আলী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’। জমি অধিগ্রহণে দেরি হওয়ায় এ কলেজটির নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় চার কোটি ৬৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। জুলাই মাসের মধ্যে জেলা প্রশাসনের দফতর থেকে অধিগ্রহণ করা জমি বুঝে পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তারা। এরপর পর্যায়ক্রমে টেন্ডার এবং কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

একইসঙ্গে অনুমোদন হওয়া দেশের অন্য চারটি জেলায় প্রযুক্তি কলেজগুলোর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজের মধ্যে পূর্ত (অবকাঠামো) এবং ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ২৬৫ কোটি টাকা। ক্লাস রুম ও অফিস কক্ষের চেয়ার-টেবিল, আসবাবপত্র, হোস্টেল, ফার্নিচার, ডেকোরেশন, ল্যাবরেটরি, গাড়ি ইত্যাদি বাবদ খরচ হবে ১০০ কোটি টাকা। প্রথমাবস্থায় এখানে নির্মিত হবে বহুতলবিশিষ্ট প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক ভবন, প্রত্যেকটি ৫০০ সিটের দু’টি ছাত্র-ছাত্রী হোস্টেল, একাধিক ল্যাবরেটরি, মসজিদ, প্রিন্সিপাল ও স্টাফ কোয়ার্টার, অভ্যন্তরীণ রাস্তা ও সীমানা প্রাচীর ইত্যাদি।

১৯৬৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী নড়াইল শহরের বরাশোলা এলাকার কৃতি সস্তান হাতেম আলী খানের নামে এ প্রযুক্তি কলেজটির নামকরণ করা হয়েছে। প্রথমে চারটি বিভাগ নিয়ে কলেজটি চালু হবে। বিভাগগুলো হলো- সিভিল, ম্যাকানিক্যাল, ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং।

জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, ‘নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা প্রশাসনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটির জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমে জমি নিয়ে কিছু জটিলতা ছিল, এখন আর সে সমস্যা নেই। জমির মালিকদের ৭ ধারামতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী মাসের মধ্যে জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হবে এবং পর্যায়ক্রমে কলেজের কাজ এগিয়ে যাবে।’

ইঞ্জিনিয়ারিং জায়গার অভাব নড়াইল প্রকৌশলি খান হাতেম আলী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

বিজ্ঞাপন

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর