Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ খুব কঠিন ছিল না— মির্জা ফখরুল


৫ জুলাই ২০২০ ১৯:২৫

ফাইল ছবি

ঢাকা: বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ খুব কঠিন ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (৫ জুলাই) বিকেলে উত্তরার বাসা থেকে অনলাইনে সিলেটের সাউথ সুরমা ন্যাশনালিস্ট ফোরামের এক অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ও স্বাস্থ্য্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খুব কঠিন ছিল না এটাকে (করোনাভাইরাস) নিয়ন্ত্রণ করা। আপনারা দেখেছেন ভিয়েতনাম নিয়ন্ত্রণ করেছে, কিউবা নিয়ন্ত্রণ করেছে। এত বড় আক্রমণের পরও চীন নিয়ন্ত্রণ করেছে, নিউজিল্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করেছে।’

‘অর্থাৎ সরকারের যদি সদিচ্ছা থাকে, তার যদি কাজ করার মতো সত্যিকার অর্থেই একটা ভালো ইচ্ছা থাকে, তাহলে তারা জনগণকে উদ্ভুদ্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। কারণ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পড়া— ইত্যাদি কাজগুলো খুব কঠিন ছিল না’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা আছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য, এই সরকার দুর্নীতি করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে একেবারে ভেঙে দিয়েছে, ভঙ্গুর করে দিয়েছে। এখানে মানুষ কোনো স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভেন্টিলেটর বাদই দেন। হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব। লোকে অক্সিজেনই পাচ্ছে না। সাড়ে তিন হাজার টাকার অক্সিজেন এখন ৩৬ হাজার, ৩৮ হাজার টাকা দাম হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘গ্লাভস, মাস্ক, স্যানিটাইজারসহ প্রতিটি সুরক্ষা সামগ্রীর দাম বেড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রকৃতপক্ষে এ ব্যাপারে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। তারা ব্যর্থ হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের এখানে যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো সরকারের সম্পূর্ণ অজ্ঞতা, অদক্ষতা, অযোগ্যতার কারণে হয়েছে। বার বার ভুল সিদ্ধান্তের ফলে করোনাভাইরাস সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। একবার ঢাকা থেকে চলে যাওয়া, আবার ঢাকায় নিয়ে আসা, আবার ঢাকায় কিছু কিছু অঞ্চল লকডাউন করা। এখন আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি- কোরবানির ঈদ আসছে। এই ঈদে আবার সামাজিক সংক্রমণ হবে ব্যাপক হয় কি না।’

তিনি বলেন, ‘সিলেটে গত কয়েকদিনে সংক্রমণ অনেক বেড়েছে। ইট হ্যাজ বিকাম এ হটস্পট নাউ। আমি সিলেটের নেতাদের অনুরোধ করব, সরকার কি করছে না করছে, সেটা দেখার দরকার নেই। তারা যা করছে করুক। আপনারা যে উদ্যোগ নিয়েছেন, এই উদ্যোগগুলো সফল করার জন্য সবাই এগিয়ে আসার চেষ্টা করুন। এটি একটি মহৎ উদ্যোগ।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের ওপর অত্যাচার করছে, নির্যাতন করছে। আমাদের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দিয়েছে, গুম করেছে, হত্যা করেছে। সিলেটের ইলিয়াস আলীকে গুম করে দিয়েছে। তার কোনো হদিস নেই আজ পর্যন্ত।’

‘তারপরও বিএনপি মাথা নত করে বসে যায়নি। লড়াই করছে, সংগ্রাম করছে। আমি বিশ্বাস করি বিএনপি উঠে দাঁড়াবে, সেই ফিনিক্স পাখির মতো উঠে দাঁড়াবে এবং জয়ী হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সামনে আসবেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সামনে আসবেন। আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব এবং সবধরনের সংকট মোকাবিলা করে জয়ী হব- এটাই আমাদের প্রত্যাশা’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সিলেট বিএনপির সাবেক সভাপতি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ হকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব।

সাউথ ন্যাশনালিস্ট ফোরামের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব কামাল হাসান জুয়েলের পরিচালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান জীবন, কলিম উদ্দিন মিলন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ ও যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি এম এ মালেক।

কঠিন ছিল না করোনা নিয়ন্ত্রণ বিএনপি মির্জা ফখরুল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর