Wednesday 23 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টিউশন ফি: দুই পক্ষকেই মানবিক হতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী


৬ জুলাই ২০২০ ১৯:০৩ | আপডেট: ৬ জুলাই ২০২০ ১৯:০৫

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি [ফাইল ছবি]

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। একেবারে টিউশন ফি না দিলে প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষকদের বেতন দিতে পারবে না। তাই দুই পক্ষকেই কিছুটা ছাড় দিয়ে মানবিক হতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবক সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

সোমবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির আয়োজনে ‘বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে শিক্ষা বিষয়ে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রমকে চালিয়ে নিতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে ইন্টারনেটের ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট প্রদান অথবা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ প্রদান করতে মোবাইল অপারেটরদের আহ্বানও জানিয়েছেন ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি সংকটই আমাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দেয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে হলে তথ্য ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তাই আমাদের হয়তো কিছুদিনের মধ্যে ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রমে যেতে হতো। করোনা আমাদেরকে এক্ষেত্রে এগিয়ে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমসহ অফিস-আদালতে বিভিন্ন মিটিং এবং দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে নতুন এই বাস্তবতার সাথে অভ্যস্ত হয়ে উঠব। পরেও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপার সঞ্চালনায় এই অনলাইন সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। আলোচক হিসেবে আরও যুক্ত ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল এবং দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক শ্যামল দত্ত।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘শিক্ষার বিস্তার এবং মেধাবি জাতি তৈরিতে ইন্টারনেট ব্যয় নয়, এটিকে রাষ্ট্রের বড় বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে হবে। ভবিষ্যত শিক্ষার ক্ষেত্র কেবলমাত্র ক্লাসরুমকেন্দ্রিক হবে না। প্রচলিত চক-ডাস্টার পদ্ধতির সাথে ক্লাসরুম ব্যবস্থা ডিজিটাল করতে হবে। অন্যথায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য মানব সম্পদ তৈরি করতে পারব না।’

তিনি বলেন, ৩হাজার ৮শত ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, ৭শত ৭৭টি ইউনিয়নে ব্রডব্র্যান্ড সংযোগ পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়েছে। দেশের হাওর, দুর্গম দ্বীপ ও চরাঞ্চলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এর মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়েছে।’

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত ডিজিটাল শিক্ষা কনটেন্ট তৈরি এবং কনটেন্টের মাধ্যমে পাঠদান অপরিহার্য। শিক্ষা বিস্তারের স্বার্থে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ইন্টারনেট সুবিধা সহজলভ্য করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

করোনাকালে টিউশন ফি শিক্ষামন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

জবিতে বিষয় পছন্দের সময় বাড়ল
২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:২৬

আরো

সম্পর্কিত খবর