রিজার্ভের অর্থ ব্যয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
৬ জুলাই ২০২০ ১৮:৫৯
ঢাকা: উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে এখন থেকে রিজার্ভের অর্থ ব্যবহার করা যায় কি না সেটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যেহেতু তিন মাসের আমদানি ব্যয় জমা থাকলেই সেটি স্বস্তিদায়ক, সেহেতু আমাদের যে অর্থ জমা আছে তা দিয়ে প্রায় এক বছরের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এখন ৩৬ বিলিয়ন ডলার। তাই বিদেশ থেকে ঋণ না নিয়ে এই রিজার্ভের টাকা ঋণ হিসেবে নিয়ে ব্যয় করা যায় কি না সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।
সোমবার (৬ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘রিজার্ভের অর্থ ব্যয়ের নির্দেশ দেননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এই অর্থ ব্যয় করলে অর্থনীতিতে কি ধরণের প্রভাব পড়বে এবং এ অর্থ ব্যয় করা যাবে কি না ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে চিন্তা ভাবনা করতে বলেছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে এম এ মান্নান বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, এই অর্থ উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা যায়। তবে ঋণ নিতে হবে ডলারে এবং পরিশোধও করতে হবে ডলারেই। তাছাড়া বিদেশ থেকে ঋণ নিলে সুদ কম থাকলেও নানা শর্ত মানতে হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন দেরি হওয়াসহ নানা জটিলতা থাকে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজেদের টাকা নিজেরাই ব্যবহার করব। বাম হাতের টাকা ডান হাত ঋণ নেবে, এতে কোনো সমস্যা দেখছি না। তবে এ বিষয়ে নিয়ম, কানুন, নীতিমালা ও বিধি ঠিক করবে অর্থ বিভাগ।’
তিনি জানান এক অনুশাসনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এখন থেকে এত ঘন ঘন সেতু নির্মাণ করা যাবে না। এতে পরিবেশ, নদীর গতিপথ এবং নদীর গভীরতার ওপর প্রভাব পড়ে।’ এজন্য এখন থেকে সেতু নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে ভালোভাবে পরীক্ষার-নিরীক্ষার জন্য এলজিইডি, পরিকল্পনা কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কোভিডের কারণে উন্নয়ন বন্ধ থাকবে না। আমরা জেনে বুঝেই প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছি। আশা করছি, কোভিড দীর্ঘায়িত হবে না। আমরা দ্রুত মূল ধারায় ফিরে আসব।’
নির্দেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রধানমন্ত্রী ব্যয় রিজার্ভের অর্থ শেখ হাসিনা