‘কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ করতে দেওয়া হবে না’
৬ জুলাই ২০২০ ১৯:৪৯
ঢাকা: দেশের উন্নয়নে যেকোনো প্রকল্পই নেওয়া হোক না কেন তা অবশ্যই গুণগত এবং টেকসই হতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের আর কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ করতে দেওয়া হবে না।
সোমবার (৬ জুলাই) মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষ থেকে দেশের ১২ জেলার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলজিআরডি’র অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে এক অনলাইনে বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের রাস্তাঘাট, সুপেয় পানি, স্যানিটেশনসহ ছোট বা বড় যেকোনো প্রকল্প নেওয়া হোক না কেন, তা হতে হবে মান সম্মত ও টেকসই। মানুষকে উন্নয়নের সুফল দিতে হলে যেকোনো কাজ টেকসই এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন করতে হব।’
তিনি বলেন, ‘গুণগত মানসম্পন্ন কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করতে গিয়ে কেউ যদি প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়, তাহলে মন্ত্রণালয় তা শক্ত হাতে মোকাবিলা করবে। আমরা এর মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই দেশের উন্নয়নে আর কোনো নিম্নমানের কাজ করতে দেওয়া হবে না। কেউ যদি নিম্নমানের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেকোনো ধরনের ঝুঁকি এবং সমস্যার সম্মুখীন হলে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য এসময় সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’ প্রধানমন্ত্রীর পরিশ্রমকে বাস্তবে রূপ দিতে স্থানীয় এলজিআরডি’র অধীন সব প্রতিষ্ঠানকে দেশের উন্নয়নে একযোগে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
এলজিআরডি মন্ত্রণালয় দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিবিড়ভাবে জড়িত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন অনেকাংশেই স্থানীয় সরকার বিভাগের ওপর নির্ভর করে। প্রতি বছরই বর্ষাকালে অতিবর্ষণ এবং উজান থেকে পানি এসে অনেক চরাঞ্চল তলিয়ে যায়। এতে করে বাড়িঘর ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। এসব মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের।’
অনলাইন সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান যোগ দেন।
উল্লেখ্য, বন্যা মোকাবিলা সংক্রান্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং সমন্বয় করার জন্য জনস্বাস্থ প্রকৌশল অধিদফতরের ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয় এবং বন্যাকবলিত সব জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং পানি ভর্তি জেরিক্যান বিতরণের মাধ্যমে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি বগুড়া, কুড়িগ্রাম, ও সিরাজগঞ্জ জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় অস্থায়ী নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহের জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রস্তুত রেখেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। চাহিদা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল মজুদ আছে। বন্যার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যাওয়া নলকূপ জীবাণুমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্লিচিং পাউডার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও সভায় জানানো হয়।
উন্নয়ন প্রকল্প তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়