চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাত থেকে রক্ষাপেতে লাগানো হয়েছে ১১শ তালগাছ
৭ জুলাই ২০২০ ১৩:১০
চুয়াডাঙ্গা: বজ্রপাত থেকে রক্ষাপেতে চুয়াডাঙ্গায় লাগানো হচ্ছে তালগাছ। ফাঁকা মাঠ ও রাস্তার পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে বজ্রশেল্টার। যেখানে ঝড়-বৃষ্টির সময় মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। ইতোমধ্যে দামুড়হুদার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠে এবং রাস্তার পাশে প্রায় ১ হাজার ১০০টি তালগাছের চারা লাগানো হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ৫টি বজ্রশেল্টার।
দেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে মাঠে কর্মরত কৃষকদের রক্ষা করতে বজ্রশেল্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। বজ্রপাতে প্রাণহানী ঠেকাতে এ কাজ করে যাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান।
কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সাধারণত উঁচু গাছ বজ্রপাত সামাল দেয়। বজ্রপাত ঠেকাতে তাল, নারিকেল ও সুপারিগাছ বেশ কার্যকর। বজ্রপাতে বেশিরভাগক্ষেত্রে মাঠে কাজ করা কৃষক মারা যায়। কৃষকদের প্রাণহানি থেকে রক্ষাপেতে চলতি মৌসুমে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চত্বর, পুড়াপাড়া, জয়রামপুর ও হৈবতপুর গ্রামের মাঠের রাস্তার পাশে ১হাজার ১০০টি তালগাছের চারা লাগানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী মৌসুমের জন্য তালের আঁটি সংগ্রহ করে চারা তৈরির কাজও চলছে। এছাড়া বজ্রপাতের সময় আশ্রয় নেয়ার জন্য দামুড়হুদার উপজেলার গোবিন্দহুদা, নতিপোতা, কুড়ুলগাছী, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ও হাউলী ইউনিয়নের ফাঁকা মাঠে ও রাস্তার পাশে বজ্রশেল্টার নির্মাণ করা হয়েছে। বজ্রপাতের সময় করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দিয়ে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে শেল্টারগুলোতে।
তিনি আরও জানান, তালগাছের শিকড় ভেষজ ওষুধ হিসাবে ভালো কাজে আসে। এই গাছ থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। তাছাড়া তাল ভিটামিন সমৃদ্ধ। তালের শাঁস, পাকাতালের বড়া, তাল মিশ্রি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিতে ভরা। এই গাছ বাবুই পাখির আবাসস্থল। গাছের পাতা দিয়ে হাতপাখা তৈরি করা যায়। মাছধরার কাজে, ডিঙ্গি নৌকা, ঘরের সিলিঙের কাঠ হিসাবে তালগাছ ব্যবহৃত হয়। শুধু তাই নয়, এই গাছের শিকড় দিয়ে সড়ক ও নদীরপাড় ভাঙন রোধ হয়। সমুদ্রপাড়ের মাছের ঘের ও ভাঙ্গন রক্ষা করে। এসব কারণে কৃষকদেরও তালগাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।