এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে বাড়ছে আগ্রহ, আমানত ৮ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা
৭ জুলাই ২০২০ ১৪:১২
ঢাকা: এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আগ্রহী হচ্ছেন গ্রাহকরা। ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় প্রচলিত শাখা খোলার চেয়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়েই বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এতে করে এজেন্ট আউটলেটের সংখ্যা, গ্রাহক ও লেনদেনের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সংগৃহীত আমানত আগের তিন মাসের তুলনায় মার্চ শেষে ১৩.৫৪ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ৫৩৫ কোটি ৪ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আমানতের সর্বোচ্চ শেয়ার ২৫ শতাংশ। এরপর রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক ২০.৫৩ শতাংশ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ১৮.৭৯ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়া ১৭.৯৯ শতাংশ এবং রাষ্ট্রায়ত্ব অগ্রণী ব্যাংকের ৩.৫১ শতাংশ।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এই তিন মাসে নতুন এজেন্ট বেড়েছে ৪০৪ জন, আউটলেট বেড়েছে ৫৫৫টি। একই সময়ে গ্রাহক বেড়েছে ১২ লাখের বেশি এবং আমানত বেড়েছে হাজার কোটি টাকারও বেশি। এছাড়াও এই সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বিতরণ বেড়েছে ২৬ শতাংশ এবং ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৫১ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় ৬৪ লাখ ৯৭ হাজার ৪৫১ জন গ্রাহক হিসাব খুলেছেন। এসব হিসাবে জমাকৃত অর্থের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রাহক ছিল ৫২ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ জন এবং আমানত স্থিতি ছিল ৭ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ সর্বশেষ তিন মাসে গ্রাহক বেড়েছে ১২ লাখ ২৮ হাজার ৯৫৫ জন এবং আমানত স্থিতি বেড়েছে প্রায় এক হাজার ১৮ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত যেসব এলাকায় ব্যাংকের কোনো শাখা নেই বা শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা অধিক ব্যয়বহুল ও লাভজনক নয় সেসব এলাকায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতেই এই সেবা চালু করা হয়। ফলে শহরের চেয়ে গ্রামেই বেশি জনপ্রিয় হয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিং।
বর্তমানে ২২টি বাণিজ্যিক ব্যাংক আট হাজার ২৬০টি মাস্টার এজেন্টের আওতায় ১১ হাজার ৮৭৫টি আউটলেটের মাধ্যমে এই সেবা দিচ্ছে।