বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচন পেছানোর দাবি বিএনপির
৭ জুলাই ২০২০ ১৪:৪৮
ঢাকা: আসন্ন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের উপনির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানায় দলটি। আগামী ১৪ জুলাই উল্লেখিত দু’টি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এসময় ইসি সচিবের কাছে সিইসি বরাবর লেখা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পাঠানো একটি চিঠিও হস্তান্তর করেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। চিঠিতে নির্বাচন পিছানোর দাবি জানানো হয়।
বৈঠক শেষে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘করোনার এই সময়ে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই কমিশনের কাছে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। কমিশন যদি নির্বাচন না পেছায় তবে আমরাও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন না পেছালে ব্যালট পেপারে আমাদের প্রার্থীর প্রতীক না রাখারও জন্যও ইসি সচিবকে বলেছি। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে কিনা জানি না।’
সংবিধান লংঘনের শাস্তি খুব মারাত্মক, উপনির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই
সিইসি বরাবর লেখা চিঠিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আগামী ১৪ জুলাই জাতীয় সংসদের বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কিন্তু আপনি অবহিত আছেন যে, বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিনিয়ত আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া দেশের উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জাতীয় সংসদের দুটি আসনে আগামী ১৪ জুলাই উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণায় বিএনপি গভীর ভাবে ক্ষুব্ধ ও স্তম্ভিত।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের উল্লিখিত উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের এ সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করি। নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের পদক্ষেপ জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর ও চরম হুমকিস্বরূপ। সে কারণে জনস্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা এ দুটি উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এসময় জনস্বার্থ বিবেচনায় কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্যও আহ্বান জানানো হয়।