মুজিব শতবর্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন কৃষিমন্ত্রীর
৭ জুলাই ২০২০ ১৬:৫০
ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রতিটি ইউনিয়ন ও উপজেলায় কমপক্ষে একশটি করে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো হবে এই কর্মসূচির আওতায়।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সারাবিশ্বের পরিবেশ, মানুষের জীবন ও জীববৈচিত্র্য চরম হুমকির সম্মুখীন। মানুষের জীবিকাও হুমকির সম্মুখীন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি গ্রামে, ইউনিয়নে ও উপজেলায়-জেলায় দেশিয় ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ উদ্যোগের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সকল জনগণকে গাছ রোপণে উদ্বুদ্ধ করা হবে। পরে মন্ত্রী তার বাসভবন চত্বরে একটি কাজু বাদামের চারা রোপণ করে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।’
কৃষি মন্ত্রণালয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রথম ধাপে প্রত্যেক উপজেলায় ১০০টি করে সারাদেশে প্রায় ৫০ হাজার বৃক্ষরোপণ করবে। দ্বিতীয় ধাপে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে আরও ১০০টি করে বৃক্ষরোপণ করা হবে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে ফলদ, বনজ ও ঔষধির পাশাপাশি মশলা জাতীয় গাছ লাগানো হবে।
এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি আউশ আবাদ হয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আউশে ও আমনে অনেক সময় বন্যার কারণে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে বন্যার কারণে আমন ফসলটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় সব ধরনের পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিকল্প বীজতলা তৈরি, নিয়মিতভাবে আবহাওয়া মনিটরিং, ভারতের সঙ্গে যোগাযোগসহ সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে যাতে করে বন্যার কারণে ফসলের ক্ষতি মোকাবিলা করা যায়।
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, কোভিড-১৯-এর প্রকোপের কারণে মুজিব শতবর্ষ উদযাপনের কর্মসূচির অনেকগুলো আপাতত স্থগিত হলেও পরবর্তীতে পরিস্থিতির উন্নতি হলে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখতে আকাশমনি, মেহগনি, ইউক্যালিপটাস প্রভৃতি গাছ লাগানো যাবে না। দেশিয় ফলদ, বনজ, ঔষধি ও মশলা জাতীয় গাছ লাগাতে হবে। এসময় তিনি কাজু বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়াতে প্রতিটি উপজেলা চত্বরে অন্তত একটি করে কাজু বাদামের গাছ লাগানো হবে বলে জানান।
এ অনলাইন সভায় ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আরিফুর রহমান অপু, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারসহ অনেকে।