মৃতদেহ বেঁধে রেখে টাকা আদায়, প্রশান্তি হাসপাতালের বিরুদ্ধে রিট
৭ জুলাই ২০২০ ২২:২৫
ঢাকা: রাজধানীর মালিবাগের প্রশান্তি হাসপাতালে মৃতের হাত বেধেঁ টাকা আদায়ের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি এ ঘটনায় ফৌজদারী অপরাধের অভিযোগ এনে হাসপাতালের মালিক ডা. আলিমের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট দায়ের করেন।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা ডা. মহিন উদ্দীন পারভেজের বড় ভাই জসিম উদ্দিন রুবেলের পক্ষে এ রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটকারির আইনজীবী।
রিটে স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের (ডিজি) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) পরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), শাহজাহানপুর থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রশান্তি হাসপাতালের মালিক ও পরিচালকসহ ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরে আইনজীবী জানান, করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা ডা. মহিন উদ্দীন পারভেজ। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, অনেকটা সুস্থ থাকার পরও ১৪ জুন ভর্তি হওয়ার পরই তাকে প্রায় জোর করেই আইসিইউতে পাঠিয়ে দেন আইসিইউ কনসালটেন্ট ডা. এস এম আলীম।
১৮ জুন ভোরে মারা যান মহিন উদ্দীন পারভেজ। স্বজনদের কাছে ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়। এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় রোগীর স্বজন রুবেলের মোবাইল কেড়ে নেন ডা. আলীমের ম্যানেজার সাইফুল। তাকে এক রুমে আটকে রাখা হয়। বলা হয়, টাকা না দিলে তাকে র্যাবে দেওয়া হবে। তার ভাইয়ের লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে ‘বেওয়ারিশ’ হিসেবে দিয়ে দেওয়া হবে। পরে রুবেল তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাসপাতাল খরচ ও প্রায় ৬০ হাজার টাকা ওষুধের দাম দিয়ে লাশ নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় ছাড়া পান।
আইনজীবী বলেন, এভাবে রোগী আটকিয়ে টাকা আদায় এক ধরনের ফৌজদারী অপরাধের শামিল। এদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছি রিটে।