নেতারা ব্যস্ত, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মালা দিলো কর্মচারী
৭ মার্চ ২০১৮ ১৪:১৫
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম: ঐতিহাসিক ৭ মার্চে এবার দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাননি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোনো নেতা। তাদের কাউকে না পেয়ে অফিস সহকারী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মালা দেন। তবে কার্যালয়ের পাশেই ছিলেন কয়েকজন কর্মী।
বুধবার (৭ মার্চ) ভোরে নগরীর দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকাও উত্তোলন করেছেন অফিস সহকারী মো. আমির।
সকালের কর্মসূচি জানতে যোগাযোগ করা হলে নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, সকালে কর্মসূচিতে নেতারা কেউ ছিলেন না। আসলে সকালে প্রোগ্রামে একটু সমস্যা হয়। আমরা না গেলেও কোতয়ালি থানা আওয়ামী লীগ গিয়েছিল।
আমির সারাবাংলাকে জানান, তিনি প্রতিকৃতিতে মালা দেওয়ার সময় ১৫-২০ জন কর্মী ছিলেন। পরে তিনি অফিসে তালা দিয়ে বেরিয়ে যান।
মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ বর্ধিত সভায় ৭ মার্চ সকালে দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। বিকেলে জেলা পরিষদ চত্বরে আলোচনা সভারও কর্মসূচি নেয় দলটি।
কর্মসূচি প্রসঙ্গে নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ সারাবাংলাকে বলেন, মালা দেওয়া এটা রেগুলার কর্মসূচি। আমাদের মূল কর্মসূচি হচ্ছে আলোচনা সভা। রেগুলার কর্মসূচি সবসময় অফিসিয়ালিই পালন করা হয়। নেতারা তেমন যান না। কারণ নিজ নিজ এলাকায় প্রোগ্রাম থাকে।
কেন্দ্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি বলেন, কেন্দ্র কী করে ইট ডাজন্ট মেটার।
প্রতিবছর সকালের কর্মসূচিতে যে ক’জন নেতা থাকেন, নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী তার মধ্যে অন্যতম। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি।
এবার দলীয় কার্যালয়ে যাননি কেন- জানতে চাইলে সাইমুল সারাবাংলাকে বলেন, আমি কোনো মেসেজ পাইনি। সেজন্য যাইনি। এছাড়া কোর্টেও আমাদের প্রোগ্রাম আছে।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী আগে দলীয় কমর্সূচি সমন্বয় করতেন। নেতাদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করতেন। বর্তমানে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এসব কর্মসূচি তত্ত্বাবধায়ন করেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন সারাবাংলাকে বলেন, দলীয় কর্মসূচি সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে প্রচার সম্পাদক মোবাইলে এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দেন। আমার কাছে শুধু বিকেলে আলোচনা সভার এসএমএস এসেছে।
অফিসের কর্মচারীর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দেওয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন সুজন।
সারাবাংলা/আরডি/টিএম/এটি