বরিশালে বাবা-ছেলে খুন: গ্রেফতারের পর দোষ স্বীকার ৩ আসামির
৮ জুলাই ২০২০ ০৩:৩২
বরিশাল: বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় বাবা-ছেলে জোড়া খুনের ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে নিহতদের ভাড়া করা ট্রলার, ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও রক্তমাখা লুঙ্গি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া খুনিরা হলেন— মো. বাদশা হাওলাদার (৩৮), মো. শাহীন খাঁ ও মো. ছানি হাওলাদার। তারা সবাই বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের হত্যায় অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন তারা।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) দুপুরে নগরীর পুলিস লাইন্সে সংবাদ সম্মেলনে খুনিদের গ্রেফতার ও ঘটনার তথ্য জানান বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বরিশাল জেলা পুলিশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ একটি টিম মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে খুনিদের অবস্থান নির্ণয় করে। এরপর ঢাকা জেলা পুলিশের সহায়তায় ৬ জুলাই সদরঘাট এলাকার তেলঘাট থেকে ছিনতাই করা ট্রলারসহ তাদের আটক করা হয়।
আসামীদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছেন আসামিরা। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ট্রলার ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে মাছের চাঁই বিক্রেতা পিতা-পুত্রকে খুন করেন তারা। এর আগে চার-পাঁচ দিন ধরে মাছের চাঁই বিক্রেতা পিতা-পুত্রের ওপর নজর রাখেন খুনিরা। ঘটনার দিন নিহতরা পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া গ্রাম থেকে মাছ ধরার চাঁই বিক্রি করতে বাকেরগঞ্জ যান। এসময় চাই কেনার কথা বলে ট্রলারে ওঠেন খুনিরা। পরে চরলক্ষ্মীপাশা নামক স্থানে টাকা দেওয়ার কথা বলে সেখানে নিয়ে চাঁইগুলো নামাতে বলেন। এরপর টাকা দেওয়ার কথা বলে প্রথমে ছেলে ইয়াসিনকে একটু দূরে একটি বাগানে নিয়ে যান। সেখানে আসামি বাদশা পেছন দিক থেকে তার গলা কেটে ফেলেন। অন্য দুই আসামি দু’পা চেপে ধরে রেখে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে খুনিরা ট্রলারে এসে পিতা হেলালকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দেন এবং বাদশা তার পেটের দু’পাশে ছুরিকাঘাতে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
৩ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনিয়নের চর লক্ষ্মীপাশা পাণ্ডব নদীর তীরে একটি বাগান থেকে মো. ইয়ামিন হাওলাদারের (২০) গলাকাটা ও ৪ জুলাই সকাল ৮টায় একই স্থানে নদী তীরে ভাসমান অবস্থায় পিতা হেলাল উদ্দিনের (৫৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।