Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রেমিট্যান্স-রিজার্ভের রেকর্ডেও স্বস্তি পাচ্ছেন না অর্থনীতিবিদরা


৮ জুলাই ২০২০ ২০:১৫

ঢাকা: চলমান করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংকটের মধ্যেও জুলাই মাসের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের ৩৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। একইসঙ্গে জুন মাসে প্রবাসীরা দেশে রেকর্ড ১৮৩ দশমিক ৩০ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। আগের মাসেও রেকর্ড থাকায় গোটা অর্থবছরেই রেমিট্যান্স নতুন রেকর্ড গড়েছে। অর্থনীতির এই দুই সূচকের এই ‘উল্লম্ফন’ সাময়িক ইতিবাচক হলেও দীর্ঘমেয়াদে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, করোনার এই সংকটে পরস্পর সম্পর্কিত এই ‍দুই সূচকের উত্থানের পাশাপাশি রফতানিতে ধ্বস দেশের অর্থনীতির জন্য স্তস্তিদায়ক নয়।

বিজ্ঞাপন

অর্থনীতিবিদদের মতে, করোনাভাইরাসের কারণে অভ্যান্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়ায় আমদানির পরিমাণ কমে গেছে। এতে করে রিজার্ভ থেকে খরচ কমার প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে। আবার বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে করোনা সংকট মোকাবিলায় দুই বিলিয়ন ডলার অনুদান পাওয়া গেছে। করোনা সংকটের কারণে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীদের দেশে ফেরত আসতে হচ্ছে বলে তাদের সব সঞ্চয় কিংবা ব্যাবসা গুটিয়ে নেওয়া অর্থও দেশে আসছে রেমিট্যান্স আকারে। ফলে রিজার্ভ বাড়ছে। এ কারণেই মে ও জুনে রেমিট্যান্স আর জুন-জুলাইয়ে রিজার্ভে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা গেলেও সেটা সাময়িক। দীর্ঘমেয়াদে এটি ভীষণ দুশ্চিন্তার কারণ, এমনকি এ পরিস্থিতি রীতিমতো অশনী সংকেত হয়ে দাঁড়াতে পারে। অন্যদিকে রফতানিতে ধ্বস আর বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের অর্থনীতিতে সামনে কঠিন সময় পাড়ি দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ার পেছনে প্রধান কারণ আমদানির মাত্রা কমে যাওয়া। রফতানিতেও ধস নেমেছে। দ্বিতীয়ত, করোনা সংকট মোকাবিলায় দাতা সংস্থাগুলো বড় অঙ্কের অনুদান দিচ্ছে। এগুলো এখনো ব্যবহার না হওয়ায় রিজার্ভ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

রেমিট্যান্স বাড়ার পেছনের সম্ভাব্য কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক প্রবাসী করোনার কারণে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা জানেন না আর ওই দেশে যেতে পারবেন কি না। ফলে তাদের যা কিছু সঞ্চয় আছে, সব পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এ কারণেই সম্ভবত রেমিট্যান্স বেড়েছে। এসব শ্রমিকরা প্রবাসে কাজের জন্য ফিরতে না পারলে এখনকার এই ‘ঊর্ধ্বগতি’ টেকসই হবে না। বরং সামনে দুর্দিন অপেক্ষা করছে।

রেমিট্যান্স ও রিজার্ভ বেড়ে গেলেও উল্লসিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন মির্জ্জা আজিজ। তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী দেশে স্বাভাবিক অর্থনীতি চালু হলে আমদানির মাত্রা বেড়ে যাবে। তখন রিজার্ভ কমে যাবে। অন্যদিকে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি বাড়ার সম্ভবনা খুবই কম। কারণ প্রবাসীদের যারা দেশে চলে এসেছেন, তারা ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কা আছে। আবার বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে  প্রবাসী ফেরত আসার সংখ্যা সম্ভবত আরও বাড়বে। তাই রিজার্ভ আর রেমিট্যান্স বেড়ে যাওয়ায় উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই। বরং দেশে বিশেষ করে কাঁচামাল আমদানি কমেছে। রফতানি ও মূলধনী যন্ত্রাংশ উৎপাদনও কমেছে। সব মিলিয়ে আমাদের অর্থনীতির পরিস্থিতিকে খুব একটা ভালো বলা যাবে না।

রিজার্ভ-রেমিট্যান্সের রেকর্ডে সন্তুষ্ট না হয়ে বরং এর কারণ বিশ্লেষণ করার কথা বলেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তিনিও মনে করছেন, কারণ বিশ্লেষণ করলে বরং সন্তুষ্টি উধাও হয়ে দুশ্চিন্তা বাড়বে।

আহসান এইচ মনসুর সারাবাংলাকে বলেন, হাজার হাজার প্রবাসী দেশে ফিরছেন। এর আগে তাদের সঞ্চয়গুলো পাঠিয়ে দিচ্ছেন। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যর দেশগুলো প্রবাসীদের সর্বোচ্চ ১০ হাজার রিয়াল পাঠানোর বিষয়ে সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে বলে শুনছি। এ কারণে অনেক প্রবাসী তাদের সঞ্চয়ের পুরো টাকা দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কারণ দেশে আসার সময় একসঙ্গে বেশি টাকা নিয়ে এলে অনেক সময় হয়রানির আশঙ্কা থাকে। প্রবাসীদের সোনার ডিম দেওয়া হাঁসের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, এতদিন প্রবাসীরা হাঁসটা থেকে ডিমটা পাঠাত, এখন আমরা হাঁসটাই খেয়ে ফেলতে যাচ্ছি। ডিমটা আর খেতে পারব না।

চলমান এ পরিস্থিতির কারণেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে গিয়ে রিজার্ভ বাড়িয়েছে বলে মনে করেন আহসান মনসুর। একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় দাতা সংস্থাগুলোর দেড় থেকে দুই বিলিয়ন ডলার অনুদানও ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন তিনি। বলেন, আমরা আপৎকালীন বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে সাহায্যো সহযোগিতা চেয়েছি। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা আমাদেরকে দেড় থেকে দুই বিলিয়ন ডলার সাহায্যে দিয়েছে। এ কারণে রিজার্ভ ২ বিলিয়ন বেড়ে ৩৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। রিজার্ভ বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় অংশটি এসেছে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক থেকে।

পিআরআই‘র এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, আমাদের আমদানি ভয়ানকভাবে কমে গেছে। কারণ আমাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির অবস্থা ভালো না। অভ্যান্তরীণ চাহিদার পতন হওয়ার কারণে আমদানি কমে গেছে। যতদিন কোভিড-১৯ আমাদের মাঝে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত অর্থনীতির অবস্থা ভালো হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রায় একই বক্তব্য দিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ও অর্থনীতিবিদ ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদও। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, আগে যেখানে ১৫-১৬ শতাংশ আমদানি হতো, এখন তার পরিমাণ প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। ফলে আমদানির কারণে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হতো, এখন সেটা করতে হচ্ছে না। রিজার্ভ থেকে যাচ্ছে। আবার যোগ হয়েছে রেমিট্যান্স। তাতে রিজার্ভ বাড়ছে। কিন্তু প্রবাসীরা তো ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ বা কাজ হারানোর ভয়ে সব সঞ্চয় পাঠিয়ে দিচ্ছে। অনেকের ব্যবসা ছিল, ব্যবসা গুটিয়ে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছে। ফলে রেমিট্যান্সের এই ধারা একদমই সাময়িক। বরং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমার রেমিট্যান্সেও কয়েক বছর আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারি। কারণ সব দেশই নিজেদের পুনর্গঠন নিয়ে ব্যস্ত। এ অবস্থায় তারা বিদেশি শ্রমিক আগের মতো নেবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করা যাচ্ছে না এবং এ গতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা সাবেক এই গভর্নরের। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ব্যাংকগুলো অর্থ ছাড় করছে না, নানা অজুহাত দেখিয়ে শুধু কাগজপত্র চাচ্ছে। বড় উদ্যক্তাদের কিছু অর্থ ছাড় দিলেও ক্ষুদ্র উদ্যেক্তাদের জন্য অর্থ দিচ্ছে না। ক্ষুদ্র উদ্যেক্তাদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করা হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৫০-৬০ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। এভাবে অর্থ ছাড় দিলে তো প্রণোদনা কোনো কাজে আসবে না। অর্থনীতির ১২টা বেজে যাবে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল  ইসলাম সারাবাংলাকে রেমিট্যান্স ও রিজার্ভে রেকর্ডের কারণ তুলে ধরে বলেন, ‘সরকারের ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা উদ্যোগের কারণে দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। আর এই কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। আর রেমিট্যান্স বাড়ার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।’

এক নজরে রিজার্ভের চিত্র

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। এতদিন পর্যন্ত সেটিই ছিল বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের রেকর্ড। এর মধ্যে গত মে মাসে দেশে মাসের হিসাবে রেকর্ড রেমিট্যান্স আসে প্রবাসীদের কাছ থেকে। তাতে ৪ জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের ৩৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। ২০ দিনের মাথায় ২৪ জুন ৩৫ বিলিয়ন ডলারও ছাড়িয়ে যায় রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসের রেমিট্যান্সের রেকর্ড জুন মাসেও এসে ভেঙে যায়। এতে গত ২ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ইতিহাসের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছে যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় রিজার্ভ ছিল ৩৬ দশমিক ১৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড

২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠানোর রেকর্ড গড়েন প্রবাসীরা। পরের ‍দুই অর্থবছরেই এর পরমাণ টানা কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আগের অর্থবছর থেকে বাড়লেও ২০১৫-১৫ অর্থবছরের রেকর্ড ছাড়াতে পারেনি। ওই অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার। তবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ড হয়। আর সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে প্রবাসীরা ১ হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

পঞ্জিকা বছর হিসাবে ২০১৯ সালে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলার, ২০১৮ সালে ১ হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, ২০১৭ সালে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৩৬১ কোটি  ডলার ও ২০১৫ সালে ১ হাজার ৫৩১ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।

রফতানি কমেছে

করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে পণ্য রফতানি প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রফতানি আয়ের সবশেষ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়— ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। অথচ আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রফতানি ছিল ৪ হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় রফতানি কম হয়েছে ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তাছাড়া এ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৫৫০ কোটি ডলারের তুলনায়ও রফতানি ২৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ কম।

ইপিবি বলছে, একক মাস হিসেবে গত জুন মাসে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতানি করে ২৭১ কোটি ৪৯ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। মে মাসে এর পরিমাণ ছিল ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার, এপ্রিলে যা ছিল মাত্র ৫২ কোটি ডলার।

মহামারি করোনার আঘাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যেও। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪২২ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় এক লাখ ২০ হাজার ৮০৭ কোটি টাকা।

অর্থনীতির জন্য স্বস্তিদায়ক নয় ড. আহসান এইচ মানসুর ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রিজার্ভে রেকর্ড রেমিট্যান্স রেমিট্যান্সে রেকর্ড সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ

বিজ্ঞাপন

আদানি গ্রুপের নতুন সংকট
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬

আরো

সম্পর্কিত খবর