সৈয়দ আশরাফের কবর সংরক্ষণের নির্দেশ
৮ জুলাই ২০২০ ২১:২৫
ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কবর স্থায়ীভাবে পাকা করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সালের ৯ জুলাই পর্যন্ত তিনি এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের নির্দেশে বুধবার (৮ জুলাই) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ঢাকা উত্তর সিটিকে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
উপসচিব নাজনীন ওয়ারেসের সই করা চিঠিতে জানানো হয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধিক্ষেত্রে বনানী কবরস্থানে সমাহিত সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কবর পাকা করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা জরুরি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সাধারণ মানুষের কাছে সৈয়দ আশরাফ নামেই পরিচিত ছিলেন। জাতীয় চার নেতার অন্যতম বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে তিনি। বাবার মৃত্যুর পর লন্ডনে চলে গেলেও ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন তিনি। ওই বছরেই সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর আরও চার বার একই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রত্যেকবারই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার গৌরব লাভ করেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। আব্দুল জলিল গ্রেফতার হলে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। পরে ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এর মধ্যে ২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। একই দায়িত্বে ছিলেন পরের মেয়াদেও। তবে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে তাকে প্রথমে দফতরবিহীন ও পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ওই মন্ত্রণালয়েরই ছিলেন তিনি।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলের প্রার্থী ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। তবে ফুসফুসে ক্যানসারের কারণে শারীরিকভাবে তিনি নির্বাচনি প্রচারণায় একদমই অংশ নিতে পারেননি। এমনকি নির্বাচনের সময় তিনি থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই নির্বাচনে বিজয়ীরা ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি শপথ নেন। ওই দিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ আশরাফের মৃত্যু হয়। ৬ জানুয়ারি তাকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবর সংরক্ষণ সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সৈয়দ আশরাফের কবর