Tuesday 01 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে বিএসআরএমের কারখানা থেকে গ্রেনেড উদ্ধার


৯ জুলাই ২০২০ ১০:৫১
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেডের চট্টগ্রামের কারখানা থেকে একটি তাজা গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে। সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা সেটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছে।

বুধবার (৮ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকায় বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেডের কারখানায় গ্রেনেডটি পাওয়া যায়। এসময় কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীসহ সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে রাতে সেটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়।

স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিকেল ৩টার দিকে কারখানা থেকে থানায় একটি বোমা পাবার খবর জানানো হয়। আমি গিয়ে দেখি, লোহার রড তৈরির কাঁচামালের মধ্যে একটি গ্রেনেডসদৃশ বস্তু বিপজ্জনকভাবে পড়ে আছে। আমি তখন সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউরিটের বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিটকে খবর দিই।’

বিজ্ঞাপন

সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিটের ইনচার্জ রাজেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি টিম গিয়ে গ্রেনেডটি উদ্ধার করেছে। এটি একটি তাজা গ্রেনেড ছিল। পরে কারখানার দক্ষিণে একটি খোলা মাঠে গ্রেনেডটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এরকম আর কোনো গ্রেনেড কারখানার ভেতরে ছিল কি না, সেটা তল্লাশি করা হয়েছে। তবে কিছুই পাওয়া যায়নি।’

কারখানা কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন সারাবাংলাকে জানান, গত ২১ জুন থেকে ১ জুলাইয়ের মধ্যে জাপান থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা ১০ হাজার মেট্রিকটন স্টিল স্ক্র্যাপ কারখানায় ঢোকে। এই স্ক্র্যাপের ভেতরে গ্রেনেডটি ছিল বলে তাদের ধারণা।

‘কারখানার পক্ষ থেকে স্ক্র্যাপের ভেতরে করে গ্রেনেডটি আসার কথা বলা হলেও আমরা নিশ্চিত নই। কারণ চট্টগ্রাম বন্দরের গেইট দিয়ে বের হওয়ার সময় স্ক্যানিং মেশিনে বিষয়টি অবশ্যই শনাক্ত হত। বিএসআরএম কারখানার গেইটেও স্ক্যানার আছে। সেখানেও শনাক্ত হয়নি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’

বিএসআরএম কারখানার সহকারী ব্যবস্থাপক ওমর সোয়েব সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ কাঁচামালের মধ্যে ছোট্ট একটা বিস্ফোরক স্ক্যানারে ধরা না-ই পড়তে পারে। তবে এখন থেকে আমরা স্ক্যানিংয়ের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হবো। কারণ এটা কারখানার জন্য কোনো স্বাভাবিক বিষয় না। তাজা গ্রেনেড বিস্ফোরিত হলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতো। আমরা অনেক বড়ো বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছি।’

গ্রেনেড টপ নিউজ তাজা বিএসআরএম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর