Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিজেকে নিদো‍র্ষ দাবি করে দুদকে ঠিকাদার মিঠুর চিঠি


৯ জুলাই ২০২০ ১৩:৪৮

ঢাকা: মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনোক্র্যাট লিমিটেড-এর মালিক মো. মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে তলব করে। সেই তলবি নোটিশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) তার দুদকে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তিনি দুদকে হাজির না হয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিতে তিনি নিজেকে নিদো‍‍র্ষ দাবি করেছেন।

সারাবাংলার প্রতিবেদকের কাছে ঠিকাদার মিঠুর দুদকের কাছে পাঠানো পত্রটির কপি রয়েছে। মিঠু তার আইনজীবীর মাধ্যমে দুদকে চিঠি পাঠিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

চিঠিতে মিঠু উল্লেখ করেছেন, দীর্ঘ কয়েক মাস যাবত্‌ একটি দুর্ঘটনার কারণে তিনি শয্যাশায়ী অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল বন্ধ থাকা এবং অসুস্থজনিত কারণে আমি হাঁটাচলায় অপারগ বিধায় আমার পক্ষে দুদকে সশরীরে হাজির হয়ে জবাব প্রদান সম্ভব না। এছাড়া আমি আমার পরিবারসহ ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য চলে আসি। আমার সন্তানদের বাত্‌সরিক স্কুল ছুটিকালীন সময়ে বাংলাদেশে বেড়াতে যায়। গত ৫ বছরে গড়ে বাংলাদেশে ১ মাসও অবস্থান করিনি।

তিনি চিঠিতে আরও বলেছেন, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের আমি চেয়ারম্যান নয় বিধায় চেয়ারম্যান হিসেবে আমার নাম যথার্থ নয়। অন্তবর্তীকালীন সময়ে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগের আবশ্যকতা দেখা দিলে আমার আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করছি। একই সাথে করোনা প্রকোপ লাঘব পরবর্তী বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলে দেশে প্রত্যাবর্তন পরবর্তী সশরীরে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদান করার আশাবাদ ব্যক্ত করছি। প্রকৃত সত্য উত্‌ঘাটনের জন্য আমি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছি। আমার মালিকানাধীন লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনোক্র্যাট লিমিটেড চিকিত্‌সার নিমিত্তে মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি কখনো আমদানি বা সরবরাহ করেনি। যদি কেউ দাবি করে থাকে তাহলে তার বিপরীতে কার্যাদেশ, চুক্তি বা অন্যান্য প্রমাণাদি দাবি করছি।

বিজ্ঞাপন

মিঠু চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছেন, তাই আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন এবং অসত্য। এছাড়া নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি অথবা গোষ্ঠীকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করার জন্য এবং দেশের মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মিডিয়া এবং সরকারি বিভিন্ন অফিসে মিঠু সিন্ডিকেট নামে একটি কাল্পনিক জুজু তৈরি করা হয়েছে। এত করোনাকালীন সময়ে যারা নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করে অধিক মুনাফা করেছেন তারা বেঁচে যাচ্ছেন। আর দেশের মানুষকে বোঝানো হচ্ছে সব মিঠু সিন্ডিকেটের কাজ। দেশের জনগণের স্বার্থে আমি অপরাধ সংশ্লিষ্ঠ ও সিন্ডিকেটের বিচার দাবি করছি।

উল্লেখ্য, ১ জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার নিমিত্ত নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি অভিযোগ অনুসন্ধানে কয়েকজনকে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এর মধ্যে গতকাল জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক, তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোং লিমিটেডের সমন্বয়কারী (মেডিকেল টিম) মো. মতিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তবে গতকাল আসার কথা থাকলেও আসেননি এলান করপোরেশনের চেয়ারম্যান-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম আমিন। আর আজকে মেডিটেক ইমেজিং লিমিটেডের পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক। দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

দুদক

বিজ্ঞাপন

বিদেশ বিভুঁই। ছবিনামা-১
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:০০

আরো

সম্পর্কিত খবর