নকল ডাক্তার, ভুয়া রিপোর্ট: ডেমরায় হাসপাতাল সিলগালা
১৩ জুলাই ২০২০ ০১:১৫
ঢাকা: রাজধানীর ডেমরার সারুলিয়ায় এইচএসএস হেলথ কেয়ার হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে হাসপাতালের পরিচালককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই পরিচালক সওকত হোসাইন সুমন নিজেকে চিকিৎসক ও টকশো ব্যক্তিত্ব পরিচয় দিয়ে এলেও আদতে তিনি চিকিৎসকই নন।
কেবল সাখাওয়াত সুমন নয়, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের হাসপাতালের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত আরও কয়েকজনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে।
রোববার (১২ জুলাই) বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ওই হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব-৩-এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
অভিযান শেষে পলাশ কুমার বসু সারাবাংলাকে বলেন, রোগীর স্যাম্পল গ্রহণ করার পর তা ফেলে দিয়ে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ওয়াসিম মন্ডলকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছ। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল, নকল ওষুধ রাখার দায় ফার্মেসির ম্যানেজার কাকন মিয়াকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, সুমন একজন ভুয়া ডাক্তার। তার কোনো ধরনের সনদ নেই। অথচ তিনি ডাক্তার পরিচয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০টির মতো ক্রেস্ট পেয়েছেন। সেগুলো তিনি সাজিয়ে রেখেছেন। তিনি টকশো করে নীতি কথা বলে বেড়ান। অথচ তিনি মেয়াদোত্তীর্ণ অক্সিজেন সিলিন্ডার রেখেছেন। কার্বন-ডাই-অক্সাইড সিলিন্ডার থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার বানিয়েছেন। আইসিইউতে ময়লার ভাগাড় জমে আছে।
তিনি বলেন, ১৩ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা লাগানো থাকলেও একজন ছাড়া কেউ আসেন না। রিপোর্টে যেখানে সই করেন, সেই ডাক্তারই আসেন না কোনোদিন। তিনি দুই বছর আগে এই হাসপাতাল ছেড়েছেন। এরপরও তার সইয়েই রিপোর্ট যাচ্ছে। সুমন প্রকৃতপক্ষে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে চলেছেন। নানা অভিযোগে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ও জরিমানা করা হয়েছে। আর হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে।
এইচএসএস হেলথ কেয়ার হাসপাতাল ভুয়া ডাক্তার ভুয়া রিপোর্ট হাসপাতাল সিলগালা