যশোর-৬ ও বগুড়া-১ আসনে উপ-নির্বাচন কাল
১৩ জুলাই ২০২০ ১৬:১৭
ঢাকা: যশোর-৬ (কেশবপুর) এবং বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ জুলাই)। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই দুই আসনে বিরতিহীনভাবে ভোট চলবে।
সাংবিধানিক নিয়ম রক্ষার এই নির্বাচনে সবধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে ওই দুই সংসদীয় এলাকায় মোটরসাইকেলসহ গণপরিবহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া ভোট গ্রহণের দিন এই দুই আসনে সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে উল্লিখিত দুই আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। করোনার কারণ দেখিয়ে নির্বাচন বন্ধ রাখার জন্য ইসিতে তারা চিঠিও দিয়েছে। অন্যদিকে সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচএম এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিন উপ-নির্বাচন হওয়ায় তারিখ পেছানোর দাবি জানিয়েছিল তারা। কিন্তু দু’দলের দাবিই নাকচ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় ব্যালটেও তাদের দলীয় প্রার্থীর প্রতীক থাকছে।
এর আগে ইসি সচিব মো. আলমগীর জানান, ওই দুই আসনে নতুন করে কোনো মনোনয়নপত্র জমা দাখিলের প্রয়োজন নেই। যেসব প্রার্থী ছিলেন এবং যে অবস্থায় নির্বাচন স্থগিত হয়েছিল, সে অবস্থা থেকেই আবার কার্যক্রম শুরু হবে।
বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসন
গত ১৮ জানুয়ারি আবদুল মান্নান মারা গেলে বগুড়া-১ আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৯৩ জন ভোটার। উপ-নির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের সহধর্মিণী সাহাদারা মান্নান (নৌকা), বিএনপির একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মোকছেদুল আলম (লাঙ্গল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মো. রনি (বাঘ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক)।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইসমাত আরা সাদেক গত ২১ জানুয়ারি মারা যাওয়ায় যশোর-৬ আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে ২ লাখ ৩ হাজার ১৮ জন ভোটার। এই আসনের প্রার্থীরা হলেন হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীন চাকলাদারকে (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (লাঙ্গল)।
উল্লেখ্য, দুই সংসদীয় আসনে ২৯ মার্চ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত করা হয়। এখন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থেকে এ নির্বাচন করছে ইসি। আগামী ১৫ জুলাই বগুড়া-১ আসনের এবং ১৮ জুলাই যশোর-৬ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধান নির্ধারিত ১৮০ দিন শেষ হতে যাচ্ছে।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় বলা হয়েছে- ‘সংসদ ভাঙিয়া যাওয়া ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। তবে শর্ত থাকে যে, যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোন দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহা হইলে উক্ত মেয়াদের শেষদিনের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’
